272 বার প্রদর্শিত
"বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন Level 7

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 7
জাবির ইবন হাইয়ানঃ আবু মুসা জাবির ইবন হাইয়ান (আল-বারিজি / আল-আযদি / আল-কুফি / আল-তুসি / আল-সুফি, আরবি: جابر بن حیان‎‎, ফার্সি: جابرحیان) (জন্ম:৭২১ - মৃত্যু:৮১৫ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি একজন বিখ্যাত শিয়া মুসলিম বহুশাস্ত্রজ্ঞ। পাশ্চাত্য বিশ্বে তিনি জেবার নামে পরিচিত যা তার নামের লাতিন সংস্করণ। তিনি ছিলেন একাধারে রসায়নবিদ ও আলকেমিবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জ্যোতিষী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, পদার্থবিজ্ঞানী এবং ঔষধ বিশারদ ও চিকিৎসক। তার প্রকৃত জাতীয়তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তিনি পারস্যের নাগরিক ছিলেন। তাকে "রসায়নের জনক" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জাবির ইবন হাইয়ান আলকেমিতে পরীক্ষণমূলক পদ্ধতির গোড়াপত্তন করেছিলেন। জাবির ইবন হাইয়ানঃ উপাধি : আবু মুসা জাবির ইবন হাইয়ান। জন্ম : ৭২২ খ্রিস্টাব্দ, তুস, পারস্য। মৃত্যু : প্রায় ৮০৪ খ্রিস্টাব্দ। জাতিভুক্ত : আরব/পারস্য। যুগ : ইসলামী স্বর্ণযুগ। মূল আগ্রহ : আলকেমি ও রসায়ন, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্র, মেডিসিন ও ফার্মাসি, দর্শন, পদার্থবিজ্ঞান, বিশ্বপ্রেমিক। লক্ষণীয় কাজ : কিতাব আল-কিমিয়া, কিতাব আল-সাবিন, বুক অফ দ্য কিংডম, বুক অফ দ্য ব্যালেন্স , বুক অফ ইস্টার্ন মার্কারি, ইত্যাদি। যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন : জাফর আল-সাদিক, আলকেমি, হারবি আল-হিমইয়ারি। যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন : যু আল-নুন আল-মিস্রি, আল-কিন্দি, আলকেমি। ১০ম শতাব্দীর প্রাথমিক দিকে, জাবিরের কাজের পরিচয় এবং সঠিক রচনাসমূহের সংগ্রহ ইসলামী চক্রের মধ্যে বিতর্ক ছিল। তিনি ১৩শ শতাব্দীতে ইউরোপে একজন বেনামী লেখক ছিলেন এবং পাশ্চাত্যের খ্রিস্টানরা লাতিন অনুযায়ী তাঁর নাম "জেবার" দেন। সাধারণত তাকে ছদ্ম-জেবার হিসাবে উল্লেখ করে। তিনি কলম-নাম জেবার অধীনে আল-কেমি ও ধাতুবিদ লিখেন। তিনি রসায়নের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছিলেন যার অনেকগুলো এখনও ব্যবহৃত হয়। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক ও নাইট্রিক এসিড সংশ্লেষণ, পাতন এবং কেলাসীকরণ। তার অধিকাংশ রচনায় দুর্বোধ্য এবং বিভিন্নভাবে সংকেতায়িত। বিশেষজ্ঞ ছাড়া তার রচনা কেউ খুব একটা বোঝেন না, বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও কেউ জানেন না ঠিক কি সংকেতের মাধ্যমে লিখেছিলেন তিনি। তাক্বিনের ধারণা এবং সে সময় আরবে প্রচলিত বিভিন্ন পদার্থের নামের মাধ্যমে তিনি বিস্তৃত রাসায়নিক সংখ্যায়ন পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন। তার আলকেমি ক্যারিয়ার এই পদ্ধতিকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। তাক্বিন বলতে আলকেমি গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে জীবন সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বোঝায়। বর্তমানে প্রমাণিত হয়েছে যে, জাবিরের প্রাথমিক গবেষণামূলক রচনাগুলো পারস্যের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতির পটভূমিতে রচিত হয়েছে। কৌশলগত শব্দভাণ্ডারে ব্যবহৃত ফার্সি ভাষা এবং মধ্য পারস্য দেশীয় শব্দের মাধ্যমে তার অভিসন্দর্ভগুলো পড়া যায়। জীবনীঃ জাবির ইবন হাইয়ান ৭২২ খ্রিস্টাব্দে তুস, পারস্যে জন্ম গ্রহণ করেন। ধ্রুপদী সূত্র অনিয়ায়ী জাবির ভিন্নভাবে আল-আযদি বা আল-বারিজি বা আল-কুফি বা আল-তুসি বা আল-সুফী হিসেবে অধিকারী হয়েছেন। তার জন্ম স্থান নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে, কারো মতে তিনি ছিলেন একজন খোরাসান, পারস্য যিনি পরে কুফাতে যান, অন্যদের মতে তিনি ছিলেন সিরিয়া আদিবাসি পরে তিনি পারস্য ও ইরাকে বসবাস করেন। তার পূর্বপুরুষগনের পটভূমি স্পষ্ট নয়, কিন্তু অধিকাংশ সূত্র তাকে একজন ফার্সি হিসেবে উল্লেখ করে। কিছু সূত্রে জানা যায় যে, তার পিতা ছিলেন হাইয়ান আল-আযদি। তিনি ছিলেন আরব আযদ উপজাতির একজন ফার্মাসিস্ট যিনি উমাইয়া খিলাফতের সময় ইয়েমেন থেকে কুফাতে প্রবসিত হন। জাবিরের রচনাসমূহঃ জাবির ইবন হাইয়ানকে প্রায় ৩,০০০ থেরাপিই এবং নিবন্ধসমূহের কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। তার রচনার পরিধি ছিল সুবিশাল: সৃষ্টিতত্ব, সঙ্গীত, ঔষধ, জাদু, জীববিজ্ঞান, রাসায়নিক প্রযুক্তি, জ্যামিতি, ব্যাকরণ, দর্শনশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, জীবিত প্রাণীর কৃত্রিম প্রজন্ম, জ্যোতির্বিদ্যার পূর্বাভাস এবং সাঙ্কেতিক ইমামি কাল্পনিক। ১. ১১২টি বই বারমাকিডসকে উত্সর্গীকৃত করেছে। ২. দ্য সেভেন্টি বুক, যার বেশিরভাগ মধ্যযুগে লাতিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। ৩. দ্য টেন বুক অন রেক্টিফিকেশন, আল-কেমির বিবরণ ধারণকারী, যেমন, পাইথাগোরাস (পিথাগোরাস), সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল। ৪. দ্য বুক অন ব্যালেন্স, এই গ্রুপে তার বিখ্যাত 'প্রকৃতি মধ্যে ভারসাম্য তত্ত্ব' রয়েছে। তথ‍্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া।
করেছেন Level 1

জাবির ইবনে হাইয়ান বিশ্ব বিখ্যাত রসায়ন বিজ্ঞানী , বর্তমান রসায়ন বিজ্ঞানের জন্মদাতা ; নাইট্রিক ও সালফিউরিক এসিডের সর্ব প্রথম আবিষ্কারক , অংকশাস্ত্রবিদ ও বিশিষ্ট চিকিৎসাবিদ ।

জাবির ইবনে হাইয়ান এর পূর্ণ নাম হল আবু আব্দুল্লাহ জাবির ইবনে হাইয়ান । তিনি আবু মুসা জাবির ইবনে হাইয়ান নামেও পরিচিত । কেউ কেউ তাঁকে 'আল হারারানী' এবং 'আবু সুফী' নামেও অভিহিত করেন । ইউরোপীয় পন্ডিতগন তাঁর নাম বিকৃত করে জিবার (Geber) লিপিবদ্ধ করেন । তিনি কবে জন্মগ্রহন করেন তা সঠিকভাবে নির্ণ্য করা যায় না । যতদূর জানা যায় , তিনি ৭২২ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে জন্মগ্রহন করেন । তাঁর পিতার নাম হাইয়ান । আরবের দক্ষিণ অংশে জাবিরের পূর্ব পুরুষগন বাস করতেন । তাঁরা ছিলেন আজাদ বংশীয় । স্থানীয় রাজনীতিতে আজাদ বংশীয়রা বিশেষভাবে জড়িত ছিলেন । পরবর্তীতে জাবিরের পিতা হাইয়ান পূর্ব বাসস্থান ত্যাগ করে কুফায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন । তিনি ছিলেন চিকিৎসক ও ঔষধ বিক্রেতা । জানা যায় , উমাইয়া বংশীয় খলিফাগনের অমানবিক কার্যকালাপের দরুন হাইয়ান উমাইয়া বংশের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব পোষণ করতেন । সেহেতু তিনি পারস্যের কয়েকটি প্রভাবশালী বংশের সঙ্গে পরামর্শ ও ষড়যন্ত্র করবার জন্য আব্বাসীয়দের দূত হিসাবে কুফা ত্যাগ করে তুস নগরে গমন করেন । এ তুস নগরেই জাবিরের জন্ম হয় । হাইয়ানের ষড়যন্ত্রের কথা অতি শীঘ্রই তৎকালীন খলিফার দৃষ্টিগোচর হয় । খলিফা তাঁকে গ্রেফতার করে মৃত্যুদন্ড দেন । হাইয়ানের পরিবার পরিজনদের পুনরায় দক্ষিণ আরবে প্রেরণ করেন ।

দক্ষিন আরবেই জাবির ইবনে হাইয়ানের শিক্ষা লাভ শুরু । শিক্ষা লাভের প্রতি তার ছিল পরম আগ্রহ। যে কোন বিষয়ে বই পেলে তিনি তা পড়ে শেষ করে ফেলতেন এবং এর উপর গবেষনা চালাতেন । খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি এখানে গণিতের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ পারদর্শী বলে খ্যাত হয়ে উঠেন । শিক্ষা সমাপ্তির পর জাবির ইবনে হাইয়ান পিতার কর্মস্থান কুফা নগরীতে গিয়ে বসবাস শুরু করেন । সেখানে তিনি প্রথমে চিকিৎসা ব্যবসা আরম্ভ করেন এবং এ সূত্রেই তৎকালীন বিখ্যাত পন্ডিত ইমাম জাফর সাদিকের অনুপ্রেরণায় তিনি রসায়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষনা শুরু করেন । কারো মতে জাবির ইবনে হাইয়ান খলিফা খালিদ বিন ইয়াজিদের নিকট রসায়ন বিদ্যা শিক্ষা লাভ করেছিলেন । কিন্তু এই কথার কোন সত্যতা খুজে পাওয়া যায়নি । কারন জাবির ইবনে হাইয়ানের কার্যাবলীর সময় কাল ছিল খলিফা হারুন অর রশীদের রাজত্বকালে । অথচ খলিফা খালিদ বিন ইয়াজিদ , হারুন ওর রশীদের বহু পূর্বেই ইন্তেকাল করেন । যতদূর জানা যায়, জাবির ছিলেন ইমাম জাফর সাদিকেরই শিষ্য । খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রসায়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী হিসাবে তাঁর সুখ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে । এ সময় ছিলো আব্বাসীয় খলিফা হারুন অর রশীদের রাজত্বকাল । কিন্তু খলিফা হারুণ অর রশীদের সাথে তাঁর তেমন কোণ পরিচয় ও সাক্ষাৎ হয়নি । কিন্তু খলিফা বারমাক বংশীয় কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো । ইমাম জাফর সাকিকই জাবিরকে বারমাক বংশীয় কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ।

একবার ইয়াহিয়া বিন খালিদ নামক জনৈক বারমাক মন্ত্রীর এক সুন্দরী দাসী মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে । তৎকালীন দেশের সুপ্রসিদ্ধ চিকিৎসকগণ তাঁর চিকিৎসা করে ব্যর্থ হন । এ সময় মন্ত্রী প্রাসাদে চিকিৎসার জন্য ডাক পড়ে জাবির ইবনে হাইয়ানের । জাবির মাত্র কয়েকদিনের চিকিতসার মাধ্যমে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন । এতে ইয়াহিয়া বিন খালিদ খুব সন্তুষ্ট এবং জাবিরের সাথে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে । বারমাক বংশীয় কয়েকজন মন্ত্রীর মধ্যস্থতায় তিনি রাষ্ট্রীয় কিছু সুযোগ সুবিধা লাভ করেন । এর ফলে তিনি রসায়ন বিজ্ঞান সম্পর্কে ব্যাপক গবেষনা করার সুযোগ পান । মন্ত্রী ইয়াহিয়া এবং তাঁর পুত্র জাবিরের নিকট রসায়ন বিজ্ঞান শিক্ষা শুরু করেন । তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য ও বিভিন্ন পদার্থ আবিষ্কার করতে আরম্ভ করেন । খুব অল্প দিনের মধ্যেই তিনি শ্রেষ্ঠ রসায়ন বিজ্ঞানী হিসাবে পরিচিত হন । জাবির ইবনে হাইয়ান প্রতিটি বিষয়ই যুক্তির সাহায্যে বুঝবার ও অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন । আধ্যাত্মিকতার দোহাই দিয়ে তিনি কোন কাজে অগ্রসর হননি । তিনি সর্বদা হাতে কলমে কাজে করতেন । প্রতিটি বিষয়ে পুঙ্খানমুঙ্খ রূপে পর্যবেক্ষণ করে তার ফলাফল লিখে রাখতেন । তিনি তাঁর 'কিতাবুত তাজে' পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছেন , " রাসায়নিকের সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ কাজ হলো হাতে কলমে পরীক্ষা চালানো । যে হাতে কলমে কিংবা পরীক্ষামূলক কাজ করে না , তার পক্ষে সামান্যতম পারদর্শীতা লাভ করাও সম্ভবপর নয় । "

জাবির তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়ই বাগদাদে কাটিয়েছেন । কিতাবুল খাওয়াসের ঘটনাবলী থেকে বুঝা যায় যে অষ্টম শতাব্দীর শেষ দিকে বাগদাদেই তিনি রসায়ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে তাঁর গবেষণা চালিয়েছিলেন । বাগদাদেই তাঁর রসাওয়নাগার স্থাপিত ছিল । উল্লেখ্য জাবিরের মৃত্যুর ১০০ বছর পরে কুফায় অবস্থিত দামাস্কাস গেটের নিকট রাস্তা নতুন করে তৈরী করতে কতকগুলো ঘর ভেঙ্গে ফেলার সময় একটি ঘরে ২০০ পাউন্ডের একটি সোনার থাল ও একটি খল পাওয়া যায় । ফিহরিস্তের মতে এটি ছিল জাবিরের বাসস্থান ও ল্যবরেটরী । ঐতিহাসিক হিস্ট্রিও এ ঘটনার সত্যতা শিকার করেন ।

জাবির ইবনে হাইয়ানের অবদান মৌলিক । তিনি বস্তু জগতকে প্রধানতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করেন । প্রথম ভাগে স্পিরিট , দ্বিতীয় ভাগে ধাতু এবং তৃতীয় ভাগে যৌগিক পদার্থ । তাঁর এ আবিষ্কারের উপর নির্ভর করেই পরবর্তী বিজ্ঞানীরা বস্তুজগৎকে তিনটি ভাগে ভাগ করেন । যথা - বাষ্পীয়, পদার্থ ও পদার্থ বহির্ভূত । জাবির এমন সব বস্তু বিশ্ব সভ্যতার সামনে তুলে ধরেন , যেগুলোকে তাপ দিলে বাষ্পায়িত হয় । এ পর্যায়ে আছে কর্পূর , আর্সেনিক ও এমোনিয়া ক্লোরাইড । তিনি দেখান কিছু মিশ্র ও যৌগিক পদার্থ; যেগুলোকে অনায়েসে চূর্নে পরিনত করা যায় । নির্ভেজাল বস্তুর পর্যায়ে তিনি তুলে ধরেন । সনা রূপা , তামা , লোহা , দস্তা প্রভৃতি ।

জাবির ইবনে হাইয়ানই সর্ব প্রথম নাইট্রিক এসিড আবিষ্কার করেন । সালফিউরিক এসিডও তাঁর আবিষ্কার । তিনি 'কিতাবুল ইসতিতমাস' এ নাইট্রিক এসিড প্রস্তুত করার ফর্মুলা বর্ণনা করেন । নাইট্রিক এসিডে স্বর্ণ গলে না । নাইট্রিক এসিড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রনে স্বর্ণ গলানোর ফরমুলা তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন । নাইট্রিক এসিড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রনে স্বর্ণ গলানোর পদার্থটির নাম যে " একোয়া রিজিয়া " এ নামটিও তাঁর প্রদত্ত । জাবির ইবনে হাইয়ান নানাভাবেই তাঁর রাসায়নিক বিশ্লেষণ বা সংশ্লেষনের নামকরণ বা সজ্ঞা উল্লেখ করেছেন । পাতন , উর্ধ্বপাতন , পরিস্রাবণ , দ্রবণ , কেলাসন , ভস্মীকরণ , গলন , বাষ্পীভবন ইত্যাদি রাসায়নিক সংশ্লেষণ বা অনুশীলন গবেষণার কি কি রূপান্তর হয় এবং তাঁর ফল কি তিনি তাও বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছেন । তিনি চামড়া ও কাপড়ে রঙ করার প্রনালী , ইস্পাত প্রস্তুত করার পদ্ধতি , লোহা , ওয়াটার প্রুফ কাপড়ে বার্নিশ করার উপায় , সোনার জলে পুস্তকে নাম লাখার জন্য লৌহের ব্যবহার ইত্যাদি আবিষ্কার করেন ।

জাবির ইবনে হাইয়ান স্বর্ণ ও পরশ পাথর তৈরী করতে পারতেন । কিন্তু তিনি স্বর্ণ কিংবা পরশ পাথরের লোভী ছিলেন না । ধন সম্পদের লোভ লালসা তাঁকে সভ্যতা উন্নয়নে ও গবেষণার আদর্শ থেকে বিন্দু মাত্র্ব পদস্খলন ঘটাতে পারেনি । দুর্দান্ত সাহসী জাবির ইবনে হাইয়ান স্বর্ণ ও পরশ পাথর তৈরী করতে গিয়ে আজীবন যেখানেই গিয়েছেন দুর্যোগ , দুশ্চিন্তা ও মৃত্যুর সাথে লড়াই ছাড়া সুখ শান্তির মুখ দেখতে পারেননি । জাবিরের মতে সোনা , রূপা , লোহা প্রভৃতি যত প্রকার ধাতু আছে , কোন ধাতুরই মৌলিকতা নেই । এসব ধাতুই পারদ আর গন্ধকের সমন্বয়ে গঠিত । খনিজ ধাতু খনিতে যে নিয়মে গঠিত হয় সে নিয়মে মানুষও ঐ সব ধাতু তৈরী করতে পারে । অন্য ধাতুর সংগে মিশ্র স্বর্ণকে বিশুদ্ধ করার পদ্ধতি তিনিই আবিষ্কার করেন ।


তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট


We sell the best enchanting fabrics. We supply all over Bangladesh considering a genuine worry for CHT Fashion House. Associate with us starting at now to get the best quality fabrics.

 present by CHT Fashion House 

Contact:01845774439

Email:mdsohelrgt@gmail.com

Click this link: www.chtfashionhouse.blogspot.com/

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
1 উত্তর
1 উত্তর
1 উত্তর
1 উত্তর
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...