শামাউন নামে ইতিহাসে অনেক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। ১. হজরত শামাউন আলাইহিসসালাম একজন নবী ছিলেন। তাঁর আরেক নাম ছিল শামওয়ীল আলাইহিসসাল্লাম। তিনি হজরত দাউদ আলাইহিসসাল্লামের আগে বনী ইসরাইলের প্রতি প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁর দিকনির্দেশনায় বনী ইসরাইল তালুতকে বাদশা হিসেবে মেনে জালেম বাদশা জালুতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। সেই দলে দাউদ আলাইহিসসাল্লামও ছিলেন। তখনো তিনি নবুওয়াত প্রাপ্ত হননি। তিনি জালুতকে হত্যা করেন। বনী ইসরাইল জয়লাভ করে। ২. শামাউন ছিলেন ইসা আলাইহিসসাল্লামের প্রেরিত বার্তাবাহক। তিনি এবং ইয়ুহান্না দুইজন ইনতাকিয়া গোষ্ঠীর প্রতি প্রেরিত হন। পরে তাদের সঙ্গী হন বুলস। যাকে বাইবেলের ভাষায় পৌল নামে ব্যক্ত করা হয়েছে। এই শামাউন ছিলেন ইসা আলাইহিসসাল্লামের মা হজরত মরিয়মের মামাতো এবং ফুফাতো ভাই। এছাড়াও আরো অনেক শামাউন সম্পর্কে ইতিহাসে পাওয়া যায়। . ••• শামাউন শব্দটি আরবিতে শীন দিয়ে। অর্থাৎ, شمعون আসলে শামাউন শব্দটি আরবি নয়। বরং ইবরানি বা হিব্রু। তবে আরবিতে যদি شمع এর বহুবচন ধরা হয়, তাহলে অর্থ হবে মোমবাতিসমূহ।