162 বার প্রদর্শিত
"পড়াশোনা" বিভাগে করেছেন Level 4

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 8
সাধারনত আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি তার তিনটি ধরন বা প্রকার থাকে। এগুলি হল শর্করা, স্নেহপদার্থ, যাকে আমরা ফ্যাট বলি ও প্রোটিন। কিন্তু গবেষণার মাধ্যমে দেখা গেছে ,কোন মানুষ সঠিক ভাবে এই তিন প্রকার খাদ্য গ্রহণ করলেও শরীরে ঠিক মতো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠছে না। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, শুধুমাত্র খাদ্য গ্রহণ করা ছাড়াও আমাদের খুবই স্বল্প মাত্রায় কিছু মৌলিক উপাদান গ্রহণ করা দরকার যেগুলি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এই স্বল্প মাত্রার মৌলিক উপাদানগুলিকেই ভিটামিন বলে। এই ভিটামিনগুলিকে তার চরিত্র অনুযায়ী বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কোন কোন উৎস থেকে এই ভিটামিন গুলি পাওয়া যায় সেটাও গবেষণার মাধ্যমে বের করা সম্ভব হয়েছে। এরমধ্যে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ও ভিটামিন পি যাকে ফ্লাভোনয়ডস ও বলে, জলে দ্রবণীয়। আবার ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি প্রভৃতি ভিটামিনগুলি ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ দ্রবণীয়। একদম সহজ করে বলতে গেলে বলতে হয়, আপনি যদি ভিটামিন বি ক্যাপসুল গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে বেশি করে জল খেতে হবে কারণ এটি জলে দ্রবীভূত হয়ে যাবে এবং এর কার্যকারিতা শরীর গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। ঠিক একইরকম ভাবে যদি আপনি ভিটামিন এ বা ভিটামিন ই ক্যাপসুল গ্রহন করেন তাহলে আপনাকে কিছুটা পরিমাণ ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ গ্রহণ করতে হবে যাতে এই ভিটামিন খুব সহজে দ্রবীভূত হতে পারে। শরীরে কোন ভিটামিন কতটা পরিমাণ লাগবে তারও একটা নির্দিষ্ট লিমিট আছে। এই লিমিট বয়স অনুযায়ী নির্ধারিত হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ভিটামিন যদি শরীরের যায় তাহলে Overvitaminosis বা hypervitaminosis নামের রোগের সৃষ্টি হতে পারে। সারাদিনে আমাদের ঠিক কতটা ভিটামিন এর প্রয়োজন সে সম্বন্ধে নানা মুনির নানা মত। ইন্টারনেটে এ ব্যাপারে বহু তথ্য মজুত রয়েছে তাই এই নিয়ে বিস্তারিত কিছু লিখলাম না। সব থেকে মজার ব্যাপার এই যে, ক্যাপসুল বা কেমিক্যাল উপাদান এর মাধ্যমে শরীরে এই ভিটামিনগুলি গ্রহণ করার নির্দিষ্ট লিমিট থাকলেও প্রাকৃতিক উপাদান অর্থাৎ সবুজ শাকসবজি, টাটকা ফলের মাধ্যমে এই ভিটামিন গ্রহণ করার কোন নির্দিষ্ট লিমিট নেই। এখানে শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন এসে যাওয়ার কোন চান্স নেই। আর এখানেই প্রকৃতি বিজ্ঞানের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে আছে। যুগ যুগ ধরে বিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের শরীরের গঠন এমন ভাবেই তৈরি হয়েছে যাতে প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত এই প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদান গুলি আমাদের শরীর খুব তাড়াতাড়ি গ্রহণ বা absorb করতে পারে। তাই কারো শরীরে ভিটামিনের অভাব হলে তাকে প্রথমে ক্যাপসুল বা কেমিক্যাল উপাদান গ্রহণের দিকে না গিয়ে টাটকা শাক-সবজি ও ফল গ্রহণ করা দরকার। এক্ষেত্রে অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, এখন শাকসবজি ও ফলে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। তাহলে সেটিও তো সমান ক্ষতিকারক শরীরের পক্ষে। এর উত্তর হ্যাঁ, অবশ্যই ক্ষতিকারক। তাই সবুজ শাকসবজি ও ফল কে যদি হালকা স্টিম করে নেওয়া হয় (সিদ্ধ নয়) তাহলে খুবই ভালো হয়। হালকা স্টিমে কেমিক্যাল গুলির গঠন ভেঙে যায় ও সেটি কম ক্ষতিকারক হয়। শরীরে ভিটামিনের অভাব অনেক সময় খাদ্যনালীর বিভিন্ন সমস্যার জন্য ও ক্ষুদ্রান্তে ব্যাকটেরিয়াল ওভারগ্রোথ (Small Intestinal Bacterial Overgrowth [SIBO]) এর জন্যও হয়। তাই অতিরিক্ত ভিটামিনের অভাব হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি উত্তর
0 টি উত্তর
2 টি উত্তর
10 জুন 2018 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Younus Matubber Level 8
1 উত্তর
07 ফেব্রুয়ারি 2018 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন S R Shahin Rana Level 5
2 টি উত্তর
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...