চিনি ব্যবহার করে সহজেই শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা সম্ভব।
‘ওয়াক্সিং’ করা যন্ত্রণার। বরং কম যাতনায় শরীরের অবাঞ্ছিত লোম তোলা উপায় হল ‘সুগারিং’
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণের পদ্ধতি হল ‘সুগারিং’। আর নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পদ্ধতিটির প্রধান উপাদানই হল ‘সুগার’ অর্থাৎ চিনি। সঙ্গে মেশাতে হবে লেবুর রস ও পানি।
অন্যান্য ‘ওয়্যাক্সিং’ পদ্ধতির মতো এখানে কাগজের স্ট্রিপ-ও প্রয়োজন নেই, হাত দিয়ে টেনেই লোমসহ মিশ্রণটি তুলে ফেলা যাবে।
তৈরির পদ্ধতি: আধা কাপ চিনির সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি হালকা আঁচে গরম করুন। বলক আসা মাত্রই ‘হুইস্ক’ বা নাড়ুনি দিয়ে নাড়তে হবে।
কিছুক্ষণ পরেই মিশ্রণটির রং পরিবর্তিত হতে দেখা যাবে। বাদামি থেকে সোনালি রং হওয়া মাত্রই চুলা থেকে মিশ্রণটি নামি ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিন। দেখবেন একটা আঠালো মিশ্রণ তৈরি হয়েছে। অনেকটা মধুর মতো। তবে মধুর চেয়ে ঘন ও আঠালো হবে।
এরপর হাত পানিতে ভিজিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থায় মিশ্রণটি হাতে নিয়ে গোল বলের মতো তৈরি করুন। গরম বেশি হলে বার বার হাত পানিতে ভিজিয়ে মিশ্রণের বলটিতে পানি মাখিয়ে ঠাণ্ডা করুন।
এবার যে স্থানের লোম অপসারণ করবেন সেখানে মাখাতে হবে। লোম যেদিকে বের হয় তার উল্টা দিকে মিশ্রণটি প্রয়োগ করতে হবে। কয়েক সেকেন্ড রেখে দিয়ে লোম যেদিকে বাড়ে সেদিকে টেনে মিশ্রণটি তুলতে হবে। এতে লোমের বৃদ্ধি প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং তোলার সময় লোম ছিঁড়বে না।
ব্যবহারের স্থান: শরীরের যেকোনো অংশেই এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যায়। তবে পুরুষদের দাড়ি-গোঁফ তোলার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে না। কারণ তা অনেক বেশি শক্ত এবং মোটা।
যন্ত্রণার মাত্রা: ‘সুগারিং’ পদ্ধতিতে যন্ত্রণার মাত্রা ‘ওয়্যাক্সিং’য়ের তুলনার অনেক কম, তবে শেইভ করার মতো যন্ত্রণাহীন নয়।
কতবার করা যাবে: প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় যতবার ইচ্ছা ততবার এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। যখনই আপনার মনে হবে অবাঞ্ছিত লোম অপসারণ করতে হবে তখনই চিনি, লেবু আর পানি নিয়ে মাঠে নেমে পড়তে পারেন।
সাধারণত লোমের দৈর্ঘ্য একটি চালের দানার সমান বা এক ইঞ্চির আট ভাগের এক ভাগ হলে লোম অপসারণ করা হয়। যাদের লোম দ্রুত বাড়ে তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তাও দ্রুত দেখা দিতে পারে। আবার সময়ের সঙ্গে লোমের মাত্রাও কমবে ‘ওয়্যাক্সিং’য়ের মতোই।
উপকারিতা: প্রচলিত ‘ওয়াক্সিং’ পদ্ধতিতে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ চুল ছিঁড়ে যায়। তবে ‘সুগারিং’ প্রক্রিয়ার এই মাত্রা অনেকটাই কমে আসে। কারণ পদ্ধতিটি ‘ওয়াক্সিং’য়ের তুলনায় মসৃণ এবং মৃদু মাত্রার।
আবার ‘ওয়্যাক্সিং’য়ের ক্ষেত্রে মিশ্রণ প্রয়োগের সময় তাপ প্রয়োগ করতে হয়। ফলে অনেক সময় ত্বক পুড়ে যায়। ‘সুগারিং’য়ে এই ঝামেলা নেই।