এসি কেনার আগে প্রথমেই ঠিক করুন, স্প্লিট এসি নাকি ইউন্ডো এসি কিনবেন ?
প্রথমেই বলি, স্প্লিট এসিতে কম্প্রেশারটি ঘরের বাইরে থাকে বলে মেশিনের আওয়াজ শোনা যায় না বললেই চলে। কিন্তু সমস্যা হল, স্প্লিট এসির কম্প্রেশার বসানোর জন্য ঘরের দেওয়াল ভাঙতে হবে।
অন্যদিকে ইউন্ডো এসি লাগাতে গেলে আপনার জানলা বন্ধ হয়ে যাবে। আর এসি বন্ধ থাকলে ঘরে আলো-বাতাস ঢোকার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যাবে। তবে, দামের দিক থেকে উইন্ডো এসির দাম স্প্লিট এসির থেকে বেশ খানিকটা কম।
আপনার ঘরের এসি কি ইনভার্টার!
বর্তমানে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করার জন্য ইনভার্টার এসি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাজারে। এই এসিতে ঘর প্রয়োজন মতো ঠান্ডা হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় কমপ্রেশার। ঘর আবার গরম হতে শুরু করলে আবার ফুল ক্যাপাসিটিতে চালু হয় কমপ্রেশার। তাই ইনভার্টার এসির কমপ্রেশার সবসময় প্রয়োজন মতো ক্যাপাসিটিতে কমে গিয়ে চলতে থাকে ও ঘরকে ঠান্ডা রাখে। যেহেতু এই এসির কমপ্রেশার কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে তাই সাধারণ এসির থেকে এই এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় বেশ খানিকটা কম। কোম্পানিগুলি দাবি করে ইনভার্টার এসি ব্যাহহার করলে সাধারণ এসির থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।
ঘরের আকার অনুসারে এসির প্রকার এসি কেনার আগে ঘর কত স্কয়ার ফিট তা জানা দরকার। ঘরের আয়তন সর্বোচ্চ ১৪০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত হলে এক টন ক্ষমতাসম্পন্ন এসি কিনলেই চলবে। তবে ঘরের আকার ১৪০ থেকে ১৯৬ স্কয়ার ফিটের মধ্যে হয় তবে দেড় টন কার্যক্ষমতার এসি কিনতে হবে। যে ঘরে এসি বসাবেন তাতে যদি জানালা থাকে তবে পছন্দ অনুসারে ভালো ব্র্যান্ড দেখে ‘উইন্ডো এসি’ কিনে নিতে পারেন। ঘরের আকার যদি বড় হয় কিংবা ঘরে যদি কোনো জানালা না থাকে তবে ‘স্প্লিট এসি’ কিনতে হবে। মূলত বসার ঘর কিংবা অফিসের বড় রুমে ব্যবহারের জন্য ‘স্প্লিট এসি’ কেনা হয়।