স্মাটফোনকে মোবাইল ফোন বা সেল ফোনও বলে থাকি। এটি একটি পোর্টেবল ডিভাইস। সাধারন ডিভাইসগুলিতে আমরা কল বা ম্যাসেজ করতে পারি। স্মার্ট ডিভাইসগুলিতে কল, ম্যাসেজের পাশাপাশি ইন্টারনেটের সুবিধা রয়েছে। এখানে রইল স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা কিছু পয়েন্ট-
নতুন প্রযুক্তির স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা
স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা
1. যোগাযোগসূত্রঃ
মোবাইলের মাধ্য়মে আমরা পরিবারের লোকজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি। সেল ফোন টেকনোলজির মাধ্য়মে বিশ্বের প্রতিটি দেশের সঙ্গে যোগসূত্রে আবদ্ধ থাকা যায়।
এটি এসএমএস, টেক্সট মেসেজিং, কল, ভিডিও চ্যাট অ্যাপ্লিকেশানগুলি লোকেদের সারা বিশ্ব জুড়ে অবিলম্বে যোগাযোগ করার অনুমতি দেয়।
2. ব্য়বসাঃ
লক্ষ্য় লক্ষ্য় মানুষ টেলিফোনের ব্য়বসায় নিযুক্ত। নতুন তরুন-তরুনীদের জন্য় চাকরীর সুযোগ তৈরি করে দেয়। স্মাটফোনের মাধ্য়মে আমাদের ব্য়বসাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
3. লোকেশনঃ
স্মার্টফোন একটি জিপিএস ডিভাইস হিসাবে কাজ করতে পারে। জি.পি.এস টেকনোলজি আপনাকে নিজস্ব লোকেশনের তথ্য় দেবে। আপনি যদি কোনও ড্রাইভার বা পথচারী হন তবে আপনি দিকনির্দেশ পাবেন, তাই আপনাকে কোথায় যেতে হবে তা জিজ্ঞাসা করতে হবে না। ভ্রমণের সময় নির্দিষ্ট লোকেশন খুঁজে পেতে সাহায্য় করে।
4. বিনোদনঃ
মাঝেমধ্য়ে আমাদের আরাম ও কিছু মজার দরকার। তখন আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আপনি গান শুনতে,মজার ভিডিও দেখতে পারেন বা গেমস খেলতে পারেন।
5. তথ্য় ট্রান্সফারঃ
স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধার আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট তথ্য় ট্রান্সফার। এখন আপনি খুব সহজেই স্মাটফোনের মাধ্য়মে এক ডিভাইস থেকে আর অন্য় ডিভাইসে তথ্য় ট্রান্সফার করতে পারবেন।
সেকেন্ডের মধ্য়ে আপনার ফোনের ফোটো, ভিডিও, ডকুমেন্ট অন্য় ডিভাইসে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছা়ড়াও এর মধ্য়ে তথ্য় জমা করতে পারবেন।
6. অ্যালার্ম সেটঃ
সকালে অফিসে যেতে চান কিন্তু আপনি সবসময় দেরী হয়ে থাকেন, অ্যালার্ম এই সমস্যার মুশকিল আসান। উন্নত প্রযুক্তি যুগে অ্যালার্ম সেট করার জন্য় টেবিল ঘড়ির দরকার পড়ে না।
স্মার্টফোন ব্যবহারের অসুবিধা
1. দামীঃ
প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার আগে সর্বত্র কিপ্য়াড মোবাইল ফোন ছিল এবং এখন এই সেট খুব বিরল। কিন্তু প্রযুক্তির নতুন টাচ মোবাইল ফোনগুলি বাজারে আসে, যা খুব ব্যয়বহুল এবং লোকেরা এই সেটগুলিতে অর্থ ব্যয় করে থাকে।
2. সাস্থ্য়ের সমস্য়াঃ
স্মার্টফোনগুলি আপনার স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। স্মার্টফোন বেশি ব্যবহারের ফলে সাস্থ্য়ে নানা ধরণের সমস্য়া দেখা যেতে পারে। যেমন মস্তিকের সমস্য়া, ক্য়ান্সার, চোখের সমস্য়া। ঘুম থেকে উঠে স্মার্টফোন ব্যবহার করা সাস্থ্য়ের পক্ষে ক্ষতিকারক।
3. তথ্য চুরিঃ
আপনার ডিভাইসে আপনার ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও বা ফাইল থাকে। অন্যান্য লোকেরা সহজে আপনার ছবি এবং ভিডিও চুরি করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে তথ্য কপি করা সহজ কিন্তু আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে সামান্য নিরাপত্তা আছে।
4. পড়াশুনোয় ক্ষতিঃ
বর্তমানে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের কারণে ছাত্রদের পড়াশুনোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের অধিকাংশ সময় কাটায় স্মার্টফোনে। ফলে রেজাল্টে ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে।
5. প্রিয়জনদের থেকে দূরত্বঃ
সোশাল মিডিয়ায় সারাক্ষন ব্য়স্ত থাকায় আমরা বন্ধু, পরিবার এবং অন্যান্য আত্মীয়দের থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখি। ফলে প্রিয়জনদের থেকে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
6. গোপনীয়তাঃ
স্মার্টফোনের মাধ্য়মে সোশাল মিডিয়ায় আমরা সবসময় ফোটো, ভিডিও, মনের কথা পোস্ট করে থাকি। যার ফলে আমাদের গোপনীয়তা বজায় থাকে না।
সারকথাঃ
স্মার্টফোন ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। তাই সতর্ক থাকা প্রতিটি মানুষের কর্তব্য়।