হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা : অনেকে হয়তো হোমিওপ্যাথি নামটি শুনেই নাক ছিটকাচ্ছেন ! আমাদের দেশের বাস্তবতায় এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে আপনি জানেন কি এক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথির চেয়ে হোমিওপ্যাথি কয়েকটি দিকে এগিয়ে আছে।
➤ নির্দিষ্ট সময় পর আর ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
➤ অর্থাৎ স্থায়ী।
➤ খরচ অনেকটাই কম
তবে চুলের জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেয়ার আগে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে - এই যেমন ডাক্তার অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড কিনা অর্থাৎ স্বীকৃত কোনো হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা কিনা। ডাক্তার যে ঔষধ/মেডিসিন দিচ্ছেন সেটা অরিজিনাল জার্মানীর কিনা। কারণ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তার ভালো হওয়া সত্ত্বেও ঔষধ ভেজাল হওয়ার কারণে অনেক রোগই ভালো হয় না। তাই আপনি যদি নিজের নির্বাচনে কোন হোমিও দোকান থেকে ঔষধ কিনতে যান সেক্ষেত্রে নির্ভেজাল ঔষধ পাওয়ার সম্ভবনা মাত্র ৩০% . তাই ডাক্তার যেভাবে দেন সেভাবে নেয়াটাই আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো বংশগত কারণে যদি আপনার চুল পড়ে এবং টাক রোগে আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি আপনার কোন উপকার করতে পারবে না। এবার আসুন আপনার চুলপড়া রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে আলোকপাত করি। আগেই বলেছি এক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথির তুলনায় খরচ অনেক কম এবং এর ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী।
➤ ডাক্তার আপনাকে কিছু ঔষধ দিবেন যা আপনাকে নিয়মিত খেয়ে যেতে হবে
➤ এ ক্ষেত্রে ঔষধের খরচ পড়তে পারে মাসে মাত্র ১৫০০/১৬০০ টাকা।
➤ তবে এর সাথে যদি আপনি অন্য কোনো চর্ম রোগে আক্রান্ত থাকেন তাহলে হয়তো খরচ কিছুটা বাড়তে পারে। তখন হয়তো সব মিলিয়ে মাসে ২০০০/২২০০ টাকা খরচ পড়বে।
➤ এক্ষেত্রেও আপনাকে চিকিৎসা নিতে হবে টানা ৬/৮ মাস তবে এটি একটি পার্মানেন্ট চিকিৎসা। একবার ভালো হলে গেলে আপনাকে বার বার ঔষধ খেতে হবে না।
সতরাং আমরা যদি চুলের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যালোপ্যাথি আর হোমিওপ্যাথির তুলনা করি তাহলে দেখবো হোমিওপ্যাথি এক্ষেত্রে অনেক কম খরচে অনেক বেশি এবং স্থায়ী ফলাফল দিচ্ছে আপনাকে। তবে হোমিওপ্যাথি বংশগত চুল পড়া রোগের ক্ষেত্রে আপনার কোন উপকার করতে না পারলেও অ্যালোপ্যাথির দ্বারা আপনি সব ক্ষেত্রেই উপকৃত হতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অভিজ্ঞ একজন ডার্মাটোলজিস্টের তত্বাবধানে চিকিৎসা নিতে হবে। তবে আপনি অ্যালোপ্যাথি বা হোমিওপ্যাথি যে ট্রিটমেন্টই নিন না কেন আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে কারণ নতুন চুল গজাতে এবং বাড়তেও একটা সময়ের প্রয়োজন সেটা আপনি নিজেও বুঝতে পারছেন।