মাগরিবের সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথেই (অর্থাৎ পশ্চিম দিগন্তের লাল আভা অদৃশ্য হওয়ার সাথে সাথে) ইশার ওয়াক্ত শুরু হয় এবং মধ্যরাত পর্যন্ত তা বিদ্যমান থাকে। এ মর্মে হাদিস হল:
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَقْتُ الظُّهْرِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَوَقْتُ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَسْقُطْ ثَوْرُ الشَّفَقِ وَوَقْتُ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَوَقْتُ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ ‘আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘আসরের সলাতের ওয়াক্ত না হওয়া পর্যন্ত যোহরের সলাতের ওয়াক্ত থাকে। আর সূর্য বিবর্ণ হয়ে সোনালি বা তাম্রবর্ণ ধারণ করা পর্যন্ত আসরের সলাতের ওয়াক্ত থাকে। সন্ধ্যাকালীন গোধূলি বা পশ্চিম দিগন্তের রক্তিম আভা অন্তর্হিত না হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সলাতের ওয়াক্ত থাকে। ইশার সলাতের সময় থাকে অর্ধ-রাত্রি পর্যন্ত। আর ফজরের সলাতের সময় থাকে যতক্ষণ সূর্যোদয় না হয়।" (সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: মসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহ, অধ্যায়: পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সলাতের সময়, হা/১২৭৩০)
তবে কেউ যদি ভুলে যায় অথবা ঘুমের কারণে যথাসময়ে পড়তে না পারে তাহলে যখনই তার স্মরণ হবে হবে বা ঘুম ভাঙ্গবে তখনোই কাল বিলম্ব না করে তা আদায় করবে তাহলে গুনাহ হবে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে অর্ধরাত্রি অতিক্রম করে ইশার নামায পড়া জায়েয নাই।
অবশ্য কিছু আলেমের মতে, জরুরত বশত: ফরজের আগ পর্যন্ত পড়া জায়েয রয়েছে। অর্থাৎ বিশেষ প্রয়োজন বশত: ফরজ হওয়া আগ পর্যন্ত জায়েয। তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে এমনটি করা ঠিক নয়।