শিক্ষিত বাঙালির কাছে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নামটি অপরিচিত হয়। ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়’ পুঁথি আবিষ্কার ও প্রকাশের ফলে বাংলা তথা পূর্বভারতীয় প্রান্তিক ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসের পরিধি পাঁচ-সাত শ বছর পিছিয়ে গেছে। এই ঘটনাটুকুতে তাঁর নাম চিরস্মরণীয় হয়েছে।
কিন্তু এ পরিচয় বাইরের সাইনবোর্ডে লেখার মতো। স্বীয় মণীষার ও বৈদগ্ধ্যের কৃতিত্বের জন্যেও শাস্ত্রী মহাশয় বাঙালির কাছে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন ও সুদীর্ঘকাল থাকবেন। শাস্ত্রী মহাশয়ের মণীষার ফল আমরা নানা রূপে ও রসে পেয়েছি। তিনি সরস অনুবাদ করেছেন, সরস গল্প ও কাহিনী লিখেছেন, সহজ সরল সরস রীতিতে ইতিহাস সাহিত্য ও ভারতত্ত্বের বিবিধ বিষয়ের আলোচনা করেছেন। দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির পক্ষে বহুমূল্য প্রচুর উপাদানও তিনি আবিষ্কার ও সংগ্রহ করে গিয়েছেন। তাছাড়া বাংলা ভাষার রীতি বিষয়েও তাঁর স্বচ্ছ দৃষ্টি কিছু নূতন আলোকপাত করেছে। সাধারণ শিক্ষিত ব্যক্তির কাছে হরপ্রসাদের মনীষার এটুকু পরিচয়ই যথেষ্ট মনে করি।