আমার বর্তমান বয়স ২১। এই বয়সের ভিতর খুব স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের জীবনে প্রেম ভালোবাসা চলে আসে। আমার জীবনেও এসেছিল। একটা মেয়ের সাথে বছর খানেক আগে সম্পর্ক হয়। আমি মেয়েটিকে ভালোবাসতাম মেয়েটিও আমাকে ভালোবাসতো।
আমাদের সম্পর্ক চলাকালীন অবস্থায় অপর একটি ছেলে পক্ষ মেয়েটিকে দেখতে আসে। ঐ ছেলে পক্ষের সাথে মেয়ের পরিবার বিয়ে ঠিক করে ফেলে। তখন আমার পক্ষে বিয়ে করা সম্ভব ছিলো না। আমি ব্যাপারটি নিই।
বিয়ে ঠিক করার ১৫-২০ দিন পর আমি মেয়েটির শূন্যতা আমার জীবনে অনুভব করতে থাকি। তখন আমি মেয়েটিকে আমি বিয়ের প্রস্তাব দেই। মেয়েটি ঠিক তত দিনে প্রতিষ্ঠিত ছেলেটির প্রেমে পরে গেছে!
খুব স্বাভাবিক ভাবে মেয়েটি পরিবারের দোহাই দিয়ে আমাকে না করে দেয়!
আমি যেন তখন মেয়েটির জন্য পাগল হয়ে যাই। তাকে বুঝানোর চেষ্টা করি, আমি তাকে কতটা ভালোবাসি, তাকে আমার তাকে কতটা প্রয়োজন। কিন্তু কোনো কাজ হয় নি।
সে নাকি তখনো আমাকে ভালোবাসতো। তাকে কল দিতাম, আমার কল কেটে দিতো। সে ছেলেটির সাথে কথা বলতো, আমি তাকে ওয়াইটিং পেতাম, তার জন্য অপেক্ষা করতাম, সে আমাকে কল দিবে। কিন্তু না। ততক্ষণে সে অন্যের হয়ে গেছে।
আমি তখন বুজতে পারছিলাম মেয়েটি আর আমাকে চায় না। তখন মেয়েটির কাছ থেকে দূরে চলে আসলাম। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম তার সাথে আর যোগাযোগ করবো না। তার সাথে কয়েক দিন যোগাযোগ ও করি নি।
কিন্তু আমি একা থাকতে পারতে ছিলাম না। আবারো মেয়েটির সাথে যোগাযোগ করি। তার একটা কলের জন্য সারা দিন অপেক্ষা করছি। তার ভয়েস শোনার জন্য সারা দিন তার কাছু রিকুয়েষ্ট করেছি। শুধু তার কাছেই নিজেকে যতটা নিচু, নির্লজ্জ ভাবে উপস্থাপন করেছি বাকি জীবনেও এর এক তৃতীয়াংশে নিজেকে কোথাও এতটা ছোট ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করিনি।
বন্ধু বান্ধব সবাই বলছে নতুন একটা রিলেশনে জড়াতে। নিজেও চেষ্টা করেছি। পারিনি।
এভাবে ৪ টা মাস কেটেছে। মেয়েটির বিয়েও ঠিক হয়েছে। ১৫-২০ দিন পরই বিয়ে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ নাকি নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করা। যা আমি
চারটা মাস যাবত করে যাচ্ছি। কিন্তু এখন আর পারতেছি না।
মধ্য রাতে এই ব্যাপারগুলো মাথায় চেপে বসে। একবার ঘুম ভেঙে গেলে সারা রাতে ঘুমাতে পারতেছি না। স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারতেছি না। কোথাও কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারতেছি না। হঠাৎ করেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে, চোখের কোনে পানি চলে আসে। যা খুব সহযেই যে কেউ ধরে ফেলে। নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারতেছি না। মানষিক ভাবে চরম দূর্বলতায় নিজেকে আবিষ্কার করছি।
আমি জানি আত্বহত্যা কোন কিছুর সমাধান দেয় না। কিন্তু এখন মন চায় পায়ের নিচে একটা টেবিল রেখে ঝুলে পড়ি। এই নড়পৃশাচ যন্ত্রনা থেকে মুক্তি থেকে পাবার রাস্তা মনে হয় এই একটি পথ ই খোলা আছে আমার জন্য। মনে হচ্ছে মৃত্যুই এ সকল কিছুর সমাধান!
নিজে কোনো উপায় খুজে পাচ্ছি না। এভাবে চলাফেরাও করতে পারতেছি না। আমার এ অবস্থান থেকে আমি মুক্তি পেতে চাই।