318 বার প্রদর্শিত
"যৌন" বিভাগে করেছেন Level 2

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 2
 
সর্বোত্তম উত্তর
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। হস্তমৈথুন ছেলে ও মেয়ে সকলের জন্যই হারাম । ইমাম শাফেয়ী কুরআনের এই আয়াতের মাধ্যমে একে হারাম বলেছেন । • এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে। (সূরা মুমিনুন ৫-৭) উক্ত আয়াতে নিজ স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত সকল প্রকার অবৈধ যৌনাচারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে যার মধ্যে হস্তমৈথুনও অন্তর্ভুক্ত । আর যে এটাকে অমান্য করবে সে সীমা লঙ্ঘনকারী । • যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। ( সূরা নুর ৩৩) এখানে যারা বিবাহে সমর্থ নয় তাদের ধৈর্য্য ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । হাদীস হতে আমরা পাই , # আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন , আমরা যুবক বয়সে নবী (সা) এর সাথে ছিলাম ; অথচ আমাদের কোন কিছু (সম্পদ ) ছিল না । এমনি অবস্থায় আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ ( সা) বলেন , হে যুব সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে , তারা যেন বিয়ে করে । কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও যৌনতাকে সংযমী করে এবং যাদের শাদী করার সামর্থ্য নেই , সে যেন রোযা পালন করে । কেননা , রোযা তার যৌনতাকে দমন করবে । (বুখারী ৪৬৯৬ ইফা) সুতরাং বিয়ে করার সামর্থ্য না রাখে তাদের সংযম করা ছাড়া কোন পথ নেই । এটাই ঈমানের পরীক্ষা । হস্তমৈথুনের বিষয়টিতো শরীয়ত সুনিশ্চিত নিষিদ্ধ করেছে। আর জমহুর ফুক্বাহারা এটাকে না জায়েজ বলেছেন। কিন্তু যেখানে তীব্র প্রয়োজন হয়, সেখানে এটাকে জায়েজ ও বলেছেন। আব্দুর রশীদ তাহের বুখারী রহঃ লিখেন- "এ কর্মটি [হস্তমৈথুন] রমযান ছাড়া অন্য সময়ে [রমযানের মতই] হালাল হবে না, যদি মনের কুপ্রবৃত্তির জন্য এমনটি করে। তবে যদি উন্মদনার প্রাবল্যতা কমাতে এমনটি করে তাহলে আশা করা যায় কোন শাস্তি হবে না।" (খুলাসাতুল ফাতওয়া-১/২৬) তবে স্বামী-স্ত্রী কর্তৃক একে অন্যকে হস্তমৈথুন করাতে কোন সমস্যা নেই । [ বি.দ্র. তবে বর্তমানে কেউ কেউ এই যুক্তি দিয়ে একে বৈধ ঘোষণার চেষ্টা করে যে যেহেতু কুরআন হাদীসের কোথাও একে সরাসরি হারাম করা হয়নি তাই এটা জায়েজ । ] আর এ থেকে মুক্তি পাবার জন্য নিজেকেই সচেষ্ট থাকতে হবে। আপনার মনোবলই যতেষ্ট হস্থমৌথুন রোধে। মনকে দৃঢ় রাখুন, ফোনে খারাপ পোষ্ট বা ভিডিও সাইট ত্যাগ করুন, আর সর্বদা নামাজ পড়ুন। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছে, নামাজ মানুষকে সকল পাপাচার থেকে বঞ্চিত রাখে। হস্তমৈথুন: এক অভিশাপ! অনেকেই বলে থাকেন হস্তমৈথুন কোন ক্ষতিকারক না। তারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে থাকে। যেমন- এক শিয়ালের লেজ কাটা যাওয়ার কারণে সে কৌশলে সব শিয়ালের লেজ কাটার ফন্দি আঁটে ঠিক তেমনি যারা নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করে ফেলেছে তারা চাচ্ছে যে এবার নেটে বা যে কোন উপায়ে আরো দশজনকে এই ফাঁদে আটকাই। যাই হোক এগুলো পশ্চিমা বা বিধর্মীদের এক কুট কৌশল। আজকাল অনেক ডাক্তারও পরামর্শ দিয়ে থাকে যে, হস্তমৈথুন ক্ষতিকর না। কেননা, যদি হস্তমৈথুন ছেড়ে দেয় তবে তাদের কাস্টমার অনেক কমে যাবে তাই তারা সুকৌশলে রোগীও বাড়াচ্ছে, অপরদিকে ব্যবসাও চাঙ্গা রাখছে। তাই নিজের অঙ্গ বিকল করার আগে নিজেই স্বিদ্ধান্ত নিন। পরে পস্তাবেন না। হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক ২৬টি দিক ১। মন দুর্বল হয়ে পড়ে। ২। পাকস্থলী, ৩। যকৃত এবং ৪। হৃদপিন্ড নষ্ট হয়ে যায়। ৫। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়। ৬। কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ অনুভূত হয়। ৭। সর্বদা খিটখিটে মেজাজ থাকে। ৮। সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর কাহিল (ক্লান্ত) হয়ে পড়ে। ৯। শরীরের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা অনুভব হয় এবং চোখে ঝাপসা দেখে। হস্তমৈথুনের ক্ষতিসমূহ ১০। বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়ার কারনে সর্বদা সামান্য সামান্য বীর্য নির্গত হতে থাকে, প্রস্রাবের নালীতে বীর্য জমে থাকে ও দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রস্রাবের নালীতে ক্ষত হয়ে যায় এবং ক্ষতস্থান হতে পুঁজ বের হয়। ১১। প্রথমে প্রথমে প্রস্রাবের সময় সামান্য জ্বালা যন্ত্রনা অনুভব হয়। ১২। পরবর্তীতে প্রস্রাবের সাথে পুঁজ বের হয়। ১৩। অতঃপর প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়। ১৪। এমনকি গলোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনকে এমনই তিক্ত করে তোলে, যার ফলে মানুষ মৃত্যুকে আহ্বান করতে থাকে। ১৫। বীর্য পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণে কোন কল্পনা ব্যতীত প্রস্রাবের আগে বা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য নির্গত হয়। একে প্রমেহ রোগ বলা হয়, যা কঠিন কঠিন রোগ সমূহের মূল। ১৬। অঙ্গ বিকল হয়ে যায়। ১৭। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। ১৮। মেরুদন্ড দূর্বল হয়ে পড়ে। ১৯। বিবাহের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। ২০। যদিও স্ত্রীর সাথে মিলন করার ক্ষেত্রে সফলও হয়, কিন্তু সন্তান সন্তুতি জন্ম নেয় না, ফলে নিঃসন্তান থেকে যায়। ২১। কোমরে ব্যথা অনুভব হয়। ২২। চেহারা হলুদ বর্ণ ধারন করে। ২৩। চোখে গাড়া পড়ে। ২৪। শরীর দিন দিন ক্ষীন হয়ে যায়, স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ে। ২৫। টাইফযেড রোগে আক্রান্ত হয়। ২৬। মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে যায়। (বি.দ্র. উপরে বর্ণিত ২৬টি কারণ হতে সব গুলো যে একজনের একসাথে প্রকাশ পাবে তা নয়। আস্তে আস্তে এগুলোর অধিকাংশই হস্তমৈথুন কারীগনের মাঝে পাওয়া যাবে।)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি উত্তর
1 উত্তর
21 ফেব্রুয়ারি 2018 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Md tushar Level 6
6 টি উত্তর
09 জানুয়ারি 2018 "যৌন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
1 উত্তর
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...