সুস্থতা মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। আর অসুস্থতাও মহান আল্লাহর অনুগ্রহ। মুমিনের জীবনে অসুস্থতার মাধ্যমে পাপ মোচন হয়। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানব জীবনের সব সমস্যার সমাধানে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা। পবিত্র কুরআনে এসেছে, ‘এবং (তিনি) প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।’ (সুরা নজম) সুতরাং হাদিসের ওপর আমল করা জরুরি। হাদিসে এসেছে, অসুস্থ্য ব্যক্তিকে দেখতে গেলে তার জন্য আল্লাহর দরবারে কীভাবে দোয়া করতে হবে। তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো
*. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোনো রুগ্ন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, যার এখনো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দোয়াটি বলবে-
উচ্চারণ : আসআলুল্লাহাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিম, আঁইয়্যাশফিয়াক’ অর্থাৎ আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য (সুস্থতা) প্রার্থনা করছি আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’ (তিরমজি, আবু দাউদ)
*. হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন বেদুঈনকে দেখতে গেলেন। আর তাঁর নিয়ম এই ছিল যে, যখন তিনি কোনো রোগীকে দেখতে যেতেন তখন বলতেন-
লা- বা’সা তুহু-রুন ইনশাআল্লাহ।
অর্থ : ‘ভয় নেই, আল্লাহর মেহেরবানীতে আরোগ্য লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (বুখারি, মুসলিম)
*. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যখন অসুস্থ হতো তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ডান হাত রোগীর শরীরে বুলাতেন এবং বলতেন-
আজহাবিল বা’সা রব্বান না-সি, ওয়াশফি আনতাশ শা-ফি-, লা শিফাআ’ ইল্লা- শিফা-উকা শিফা-আ’ লা ইউগাদিরু সুক্বমা।
অর্থ : ‘হে মানুষের প্রতিপালক! এ রোগ দূর কর এবং আরোগ্য দান কর, তুমিই আরোগ্য দানকারী। তোমার আরোগ্য ব্যতিত কোনো আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকী রাখে না কোনো রোগ।’ (বুখারি, মিশকাত)
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য প্রত্যেকের দোয়া করা উচিত। যেভাবে দোয়া করতে শিখিয়েছেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে কুলআন সুন্নাহ অনুযায়ি জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দেন। আমিন।