239 বার প্রদর্শিত
"ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে করেছেন Level 6

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন Level 6
রোজা ভাঙে না যে কারণে:-
১.ভুলে খানাপিনা বা স্ত্রীসম্ভোগ করলে রোজা ভাঙে না। যদি ওই ভুলকারী ব্যক্তির রোজা রাখার শক্তি থাকে, তাহলে তাকে রোজার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত।
আর যদি রোজা রাখার শক্তি না থাকে তাহলে স্মরণ না করানোই উত্তম।
২.অনিচ্ছাবশত গলার মধ্যে ধোঁয়া, ধুলাবালি, মশা, মাছি চলে গেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।

৩.তেল, সুরমা, শিঙা লাগালে হলকে তার স্বাদ পেলে রোজা ভঙ্গ হয় না।

৪.স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙে না।

৫. যেকোনো সময় মেসওয়াক করলে রোজা ভাঙে না। সেটি কাঁচা হোক কিংবা শুষ্ক।

৬. কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর ফলে কোনো ময়লা বের হলে তারপর ময়লাযুক্ত কাঠি বারবার কানে প্রবেশ করালে রোজা ভঙ্গ হয় না।

৭.চানা বুটের চেয়ে ছোট বস্তু দাঁতের ফাঁকে আটকে গেলে এবং তা গলার ভেতর চলে গেলে কিংবা খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙে না।

৮. দাঁত থেকে অল্প রক্ত বের হয়ে যদি গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না।
যদি রক্তের চেয়ে থুতুর পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যা
৯. শরীর, মাথা, দাড়ি, গোঁফে তেল লাগালে রোজা ভাঙে না

১০. ফুল বা মৃগনাভির ঘ্রাণ নিলে রোজা ভাঙে না।

১১.ইচ্ছাকৃতভাবে নাকের শ্লেষ্মা মুখের ভেতর নিয়ে নিলে রোজা ভাঙে না।

 ১২.মুখের থুতু গিলে ফেললে রোজা ভাঙে না।

১৩.তিল পরিমাণ কোনো জিনিস বাইরে থেকে মুখে নিয়ে অস্তিত্বহীন করে দেওয়া ও গলায় তার কোনো স্বাদ অনুভব না হলে রোজা ভাঙে ন

১৪. কপালের ঘাম কিংবা চোখের দু-এক ফোঁটা অশ্রু কণ্ঠনালিতে পৌঁছে গেলে রোজা ভাঙে না; কিন্তু যদি পরিমাণে বেশি হয় যে তার প্রভাব গলায় অনুভব হয়। তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।

১৫.রোজা অবস্থায় সাধারণ ইনজেকশন বা টিকা লাগানো বৈধ। তবে এমন ইনজেকশন বা টিকা লাগানো মাকরুহ, যেগুলো দ্বারা রোজার কষ্ট বা দুর্বলতা দূরীভূত হয়।

১৬.সাপ, বিচ্ছু ইত্যাদি দংশন করলে রোজা ভাঙে না।

১৭.ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হবে না। আর দুর্বলতার আশঙ্কা না থাকলে মাকরুহও হবে না।

১৮. পান খাওয়ার পর ভালোভাবে কুলি করা সত্ত্বেও যদি থুতুতে লাল আভা থেকে যায়, তাহলে রোজা মাকরুহ হবে না।

১৯.ভেজা কাপড় শরীরে দেওয়া অথবা ঠাণ্ডার জন্য কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া অথবা গোসল করা মাকরুহ নয়।

২০.স্বপ্নে কিংবা সহবাসে যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে এবং সুবেহ সাদিকের আগে গোসল না করে রোজার নিয়ত করে, তাহলে তার রোজার মধ্যে অসুবিধা হবে না।

২১. গরমের দরুন দীর্ঘক্ষণ পানিতে অবস্থান করা মাকরুহ নয়।

২২.গলা খাঁকারি দিয়ে গলদেশ থেকে মুখে কাশি বের করা, তারপর আবার গিলে ফেলা মাকরুহ নয় (এরূপ না করাই উচিত)।

২৩.রোজা অবস্থায় মাথা বা চোখে ওষুধ দেওয়া মাকরুহ না।

২৪. হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ঘ্রাণ নেওয়া মাকরুহ নয়।

২৫. রোজা অবস্থায় পাইপ দ্বারা মুখে হাওয়া নিলে রোজা মাকরুহ হয় না।

২৬.রোজা অবস্থায় নাকের মধ্যে ওষুধ ব্যবহার করার দ্বারা ব্রেনে না পৌঁছলে রোজা মাকরুহ হয় না।

২৭.শরীরে কোনো ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বা রক্ত প্রবাহিত হলে বা রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হয় না। তবে রোজাদার থেকে বের করা মাকরুহ।

২৮. ডাক্তার যদি চিকিৎসার শুকনো কোনো যন্ত্র পেটে প্রবেশ করায়, অতঃপর তা বের করে ফেলে, তাহলে রোজা নষ্ট হবে না।

২৯.পানিতে ডুব দেওয়ার পর কানের ভেতর পানি চলে গেলে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে পানি দিলে রোজা মাকরুহ হয় না।

৩০. জৈবিক উত্তেজনার কারণে শুধু দৃষ্টিপাতের কারণে যদি ভুলে খানাপিনা বা স্ত্রীসম্ভোগ করলে রোজা ভাঙে না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
17 মে 2020 "মতামত" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন তুহিন Level 7
1 উত্তর
05 মে 2019 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique Level 7
1 উত্তর
05 মে 2019 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Siddique Level 7
1 উত্তর
1 উত্তর
02 জুন 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন builderbd Level 6
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...