সাহিবে নিসাব অর্থাৎ যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ ধন সম্পদের অধিকারী ব্যক্তির জন্য যাকাত আদায় করা শরীয়তের দৃষ্টিতে ফরজ । যাকাত ইসলামের একটি মৌলিক ও বুনিয়াদী রোকন। ঈমারে পর সালাতের সমস্তরের ফরয বিধান হল যাকাত। একারণেই পবিত্র কোরআনের প্রায় (এক বর্ণনা মতে) ৮২ বিরাশি স্থানে সালাত ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ একত্রে এসেছে। তাই তো নিষ্ঠাবান মুমিনের পরিচয় ও বৈশিষ্ট তুলে ধরতে গিয়ে এরশাদ হয়েছে: ‘যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত আদায় করে’। যাকাত অস্বীকার করার দ্বারা ঈমান চলে যায়। আর যাকাতের ফরযিয়াত স্বীকার করে তা আদায় না করা হারাম ও কবীরা গুনাহ। (সূরা:নামল, আয়াত:৩,) কখন যাকাত দিবেন .....কখন আপনার উপর যাকাত দেয়া ওয়াজিব হবে ...এর নিসাব বা পরিমান কি?... স্বর্ণের নেসাব হলো বিশ মিছকাল তথা ৭.৫ ভরি/তোল = ৮৭.৫১৪ গ্রাম প্রায়। আর রূপার নেসাব হলো দুইশত দিরহাম তথা: ৫২.৫ ভরি/তোলা, ৬১২.৬০২ গ্রাম প্রায়। এছাড়া বাকী অন্যান্য ব্যবসার সম্পদের নেসাবের ক্ষেত্রে নেসাব হলো স্বর্ণ বা রূপার উক্ত পরিমানের মূল্যের সাথে মিলানো, দুইশত দিরহাম রূপার যে বিক্রয় মূল্য সে পরিমাণ যদি কারো ব্যবসায়ী সম্পদ থাকে তাহলে সেই ব্যবসার মালের উপর যাকাত ফরজ হবে। (আলবাদায়ে ২/১০০ দুররুল মুখতার ৩/২২৪, ফাতওয়া শামী ৩/২২৪) যে পরিমাণ যাকাত প্রদান করতে হবে নেসাব পরিমাণ সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যা শতকরা আড়াই ভাগ আসে। এই পরিমান ফকীরকে দেয়া আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে স্বরণ রাখতে হবে যে, যাকাতের হিসাব ধারনা মূলক নয় বরং নিশ্চিত হিসাব করে উক্ত পরিমান দিতে হবে।(বাদায়ে ২/১০৬,তাতারখানিয়া ৩/১৫৫, হিন্দিয়া ১/১৭৯) কারো নিকট যদি স্বর্ণ বা রূপার অলংকার থাকে তাহলে তা বর্তমান বাজারে বিক্রয় করতে গেলে যে মূল্য পাওয়া যাবে সেই মূল্যের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দেয়া আবশ্যক।ভাই এইগুলা হলো মূল আইন .... এই জিনিসগুলা জানা থাকলে আপনি নিজেই নিজেই বের করতে পারবেন।