আত্মবিশ্বাস শুধু একটি শব্দ নয়, একটি শক্তি যা আমাদের জীবনের কঠিন পরিস্থিতিও সহজ ভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। এর অভাব আমাদের ভিতরের অনেক সম্ভবনাকেই কুড়িতেই ঝরিয়ে দেয়। জীবনের অনেক সংকল্পই অসম্পূর্ণ থেকে যায়।কিন্তু, কিছু সহজ পদক্ষেপ সহজেই এই সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে।
ফিরে দেখুন : নিজেকে জানার চেষ্টা করুন ভালো ভাবে। কোন কোন বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণের ভিতরে আছে আর কোনটি নেই। নিজের ডায়েরীতে লিখুন এবং সে সকল বিষয় নিয়েই চিন্তা করুন যা পরিবর্তনের ক্ষমতা আপনার আছে। তা হতে পারে আপনার পেশাগত দিক বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক। যেটুকু আপনি সক্রিয় ভাবে পরিবর্তন করতে পারেন তাতেই নিজের সময় ও শক্তি ব্যয় করুন। যদি কোন কিছু আপনার সাধ্যের বাইরে থাকে তবে তা মেনে নিন এবং সামনে অগ্রসর হন। আপনার শক্তি অন্য কোথাও ব্যয় করুন।
নেতিবাচক প্রভাব এড়িয়ে চলুন: যদি কোন ব্যক্তি বা পরিস্থিতি আপনার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তবে একটু ভেবে নিন সেই ব্যক্তি বা পরিস্থিতির আপনার জীবনে ঠিক কতটা গুরুত্ব আছে।ইতিবাচক বন্ধুত্ব এবং কাজ কর্মকে জীবনে প্রাধান্য দিন।
নিজেকে দোষারোপ করা বন্ধ করুন : মনে রাখবেন, আপনি আপনার সাধ্যের অতিরিক্ত কখনই কিছু করতে পারবেন না।পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে নিজেকে দোষ দিবেন না বরং ভাবুন আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে।
কিছু শরীরচর্চা করুন : নিয়মিত কিছু শরীরচর্চা আপনাকে চিন্তা মুক্ত এবং শরীর গঠনেও সাহায্য করবে।কিছু ভাল ব্যায়াম আপনাকে চাপ মুক্ত করবে এবং সতেজ করবে। এসব আপনার আত্মবিশ্বাস গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
প্রিয়জনদের সাথে ভালো সময় কাটান: কাছের মানুষদের সাথে কিছু ভাল সময় কাটান। যা জীবনের কঠিন সময়েও আপনি মনে করতে পারবেন এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দিবে।এটা আপনার ভিতরে আত্মসম্মান গড়ে তুলবে।
চাপকে দূরে রাখুন : বের করুন কোন জিনিসটা আপনাকে চাপে ফেলছে। আপনি কি খুব বেশি কাজ করছেন। নিজের কাজকে বোঝা হতে দিবেন না। কার্য তালিকায় এমন কিছু কাজ অন্তর্ভূক্ত করুন যা আপনাকে আনন্দ দিবে।
নতুন কিছু করুন: নতুন কোন শখ বা কাজ আয়ত্ব করুন। নতুনত্ব মন ও মস্তিষ্কের জন্য ভাল। এটা আপনাকে নতুন কিছু অর্জনের অনুভূতি দিবে এবং নিজের মূল্য বুঝতে সাহায্য করবে।
ছোট এবং সহজ লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: কাজের এমন মানদ- বের করুন যা আপনি অর্জন করতে পারবেন। লক্ষ্য অর্জনের পর একটু থামুন এবং ভেবে দেখুন আপনি কতটুকু অর্জন করতে পারলেন।নিজের সাফল্য শনাক্ত করতে পারলে তা আপনার মনোভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পুরানো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করুন: এমন কোন বন্ধুকে ফোন করুন যার সাথে অনেকদিন আপনার কোন যোগাযোগ হয়নি।পুরানো সম্পর্কে নতুন করে ফিরিয়ে আনলে আপনার ভিতর সামাজিক বন্ধনের চেতনা গড়ে উঠবে। নিজেকে সকলের সাথে যুক্ত করলে আপনার মনও সতেজ হবে এবং আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
মনের খোরাক যোগান: কিছু ভাল বই পরুনবা ভাল গান শুনুন যা আপনার চিন্তাজগৎকে আরও সমৃদ্ধ করবে। নিজেকে শিল্পচর্চায় ব্যস্ত রাখুন যা আপনাকে পূর্ণতা এনে দিবে।