গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি একটি মারাত্মক অবস্থা। গর্ভাবস্থায় শরীরের পানি জমতে থাকলে ও প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে থাকলে একসময় এই মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়। অবশেষে মারাত্মক জটিলতা নিয়ে মা ও গর্ভস্থ শিশু উভয়েই মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
কী করবেন?
-
গর্ভাবস্থায় খিঁচুনি হলে রোগীকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
-
খিঁচুনির সময় রোগীর দাঁতে দাঁত লেগে যায়। দাঁতের কামড়ে যাতে জিভ কেটে না যায়, সে জন্য মাউথ গ্যাগ ব্যবহার করা ভালো। তবে এর পরিবর্তে চামচের পেছনের ডাঁটটি কাপড়ে পেঁচিয়ে দুই পাটি দাঁতের মাঝখানে ঢুকিয়ে দিতে পারেন।
-
এ ছাড়া মুখের ফেনা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
-
হাসপাতালে নেওয়ার পর রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সুবিধার জন্য সাকশন দিয়ে মুখের ফেনা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অন্যান্য উপসর্গের চিকিৎসাও দেওয়া হয়। চিকিৎসা গুরুত্বসহকারে জরুরি ভিত্তিতে করতে হয়।
কী করবেন না
-
ঝাড়ফুঁক করে হাসপাতালে আসা বিলম্বিত করবেন না। আজেবাজে টোটকা ওষুধ খাওয়াবেন না।
-
এটি একটি রোগ, তাই প্রতিরোধের জন্য গর্ভধারণের পরই নিয়মিত চিকিৎসকের চেকআপে থাকতে ভুলবেন না। চিকিৎসকের চেকআপে থাকলে রোগ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে। তখন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে মা ও গর্ভস্থ শিশু উভয়কেই রক্ষা করা সম্ভব।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।