শর্করা খাওয়ার আগে পেট ভরে সবুজ শাক সবজি ও স্যালাড খেলে রক্তের সুগার থাকবে নিয়তনে। আরিজোনাস্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগী বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স সমস্যা যাদের তাদের দেখা গেছে প্রচুর শ্বেতসার আহারের পূর্বে ২ টেবিল চামচ ভিনোগার খেয়ে নিলে রক্তের সুগার কমে আসে। ভিনেগারে রয়েছে এসেটিক এসিড, যা শ্বেতসার পরিপাক করার এনযাইমদের নিষ্ক্রিয় করে ধীরে করে দেয় শ্বেতসার পরিপাক। বলেন মুখ্য গবেষক ক্যারল জনসটন। রক্তের সুগারের উপর ভিনেগারের প্রভাবটি ডায়াবেটিসের ওষুধ একারবোস (প্রিকোজ) এর মতই। আহারে ভাত-মাছ খাওয়ার পূর্বে একপ্লেট সবজি ও স্যালাড; তিন টেবিল চামচ ভিনেগার, দুই টেবিল চামচ তিসিতেল, এককোয়া রসুন (ছেচাঁ), এক চামুচের চারের একভাগ মধু, দুই টেবিল চামচ দধি, নুন ও গোলমরিচ ও লেটুসপাতা।ফিনিস একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে সব লোক বেশি ব্যায়াম করেছেন-সপ্তাহে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত বা দিনে ৩৫ মিনিট- তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমেছে ৮০%, ওজন না কমানো সত্বেও কেবল হেটে। ব্যায়াম কেন এত হিতকরী? কেন হাঁটা এত স্বাস্থ্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে ব্যায়াম করলে দেহকোষের ইনসুলিন রিসেপটারের সংখ্যা বাড়ে। এতে শরীরে হরমোন ইনসুলিন আরো কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে। ইনসুলিন রক্তের সুগারকে কোষের ভেতর ঢুকতে সাহায্য করে, শরীর গ্লুকোজ দহন করে পায় শক্তি ও পুষ্টি। হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ গবেষণায় দেখা গেছে ৩-৪ কপি কফি দিনে কমে ২৯-৫৪% ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। ক্যাফিনে কাজ হয়। চা ও চকোলেটও। ক্যাফিন উজ্জীবিত করে বিপাক। ক্যাফিনের বড় উত্স কফিতে আছে আরও পটাসিয়াম, ম্যাগনোসিয়াম ও এন্টি-অক্সিডেন্ট, গ্লুকোজ শোষণে সহায়ক। দারুচিনি বেশ প্রভাব ফেলে রক্তের সুগারের উপর। জার্মান গবেষকরা দেখেছেন এক গ্রাম দারুচিনি পাউডারের একটি ক্যাপসুল খেলে রক্তের সুগার কমে ১০%। দারুচিনিতে এমন উপকরণ আছে যা ইনসুলিন রিসেপটারকে উদ্দীপত্ত করে এমন এনযাইমদের সক্রিয় করে। মিষ্টি এই মসলা রক্তের কোলেস্টেরল ও চর্বিও কমিয়ে থাকে।