বাসায় পড়াশোনার রুটিন কখন, কার, কেমন হওয়া উচিত—জানাচ্ছেন হাবিব তারেক : বাসায় পড়াশোনার রুটিন দুই রকমের হতে পারে। এক. সাপ্তাহিক অর্থাৎ এটা পরীক্ষার সময় ছাড়া অন্য যেকোনো সময়ের জন্য। দুই. পরীক্ষার আগমুহূর্তে প্রস্তুতির জন্য। সাপ্তাহিক রুটিনে—শিক্ষার্থী যে সময়টা বাসায় থাকে, সে সময় থেকে খেলাধুলা, বিনোদন, ঘুম ও অন্যান্য কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় বাদ দিয়ে যা থাকবে, তার মধ্যে থেকেই পড়ার সময় বের করতে হবে। প্রতিদিন সকাল, বিকেল/সন্ধ্যা ও রাতে কোন কোন বিষয়ের জন্য কতক্ষণ সময় বরাদ্দ রাখবে, তা ঠিক করবে ক্লাসের রুটিনের সঙ্গে মিল রেখে। এর সুবিধা হলো, ক্লাসে যে বিষয়টি পড়ানো হয়েছে, বাসায় তা আরেকবার ঝালিয়ে নেওয়া যাবে। যেসব বিষয়ে দুর্বলতা বেশি, রুটিনে সেগুলোর ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি সময় বরাদ্দ রাখবে। সাপ্তাহিক সূচিতে সময় ও বিষয়কে এমনভাবে বণ্টন করবে, যাতে বিষয়গুলোতে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া যায়। অর্থাৎ কোনো বিষয় আধাআধি ফেলে রাখতে না হয়। রুটিনে দিন ও রাতের পড়ার বিষয় নির্ধারণে কৌশলী হবে। যেমন—গণিত অনেক শিক্ষার্থীরই ভোরের সূচিতে থাকে। কারণ ওই সময়টা মনোযোগ দেওয়ার জন্য কিংবা পাঠ মনে রাখার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। একইভাবে ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলো কোন সময়ে রপ্ত করতে পারবে, এসব বিষয়ে প্রতিদিন কয় ঘণ্টা করে সময় দেবে, ভেবেচিন্তে সেভাবেই রুটিনে রাখবে। পরীক্ষার আগমুহূর্তের রুটিন করবে তারিখভিত্তিক। যেমন ধরো, ১০ তারিখ থেকে পরীক্ষা শুরু। আর আজ ১ তারিখ। পরীক্ষার আগের দুই-তিন দিন (৭-৯ তারিখ) রাখবে প্রথম পরীক্ষার জন্য। আর ১ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত এমনভাবে পুরো সূচি ও দিনের সূচি বণ্টন করে নেবে, যাতে বাকি সব বিষয়ে রিভিশন দেওয়া যায়। বিশেষ করে, যেসব বিষয়ের পরীক্ষার আগে বন্ধ নেই, যেসব বিষয়কে এই রুটিনে প্রাধান্য দেবে। যদি দেখো, রুটিনের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পাঠ শেষ হচ্ছে না, তাহলে বাড়তি সময় নাও। তবে এই বাড়তি সময়ের জন্য যেন রুটিনের বাকি বিষয়ে বরাদ্দ সময়ের কমতি না হয়। ধরো, তোমার রুটিনে সন্ধ্যা/রাতে ৩টি বিষয়ে ১ ঘণ্টা করে মোট ৩ ঘণ্টা (সন্ধ্যা ৭টা - রাত ১১টা) বরাদ্দ। কোনো বিষয়ে ৩০ মিনিট বেশি দেওয়ার দরকার হলে তোমার রুটিনের সময়সীমা গিয়ে দাঁড়াবে রাত ১১টা ৩০ পর্যন্ত। পড়াশোনার সূচি তৈরির আরো উপায় জানা যাবে উইকি হাউ ওয়েবসাইটে :
http://www.wikihow.com/Create-a-Study-Schedule (কালের কন্ঠ থেকে)