মাসিক শেষ হবার পর ৫ থেকে ৭ দিন, এই সময়কে বলা হয় Resting Phase. এরপর ৮ - ১৪ দিন, এই সময়কে বলা হয় Proliferative Phase. সাধারণত ১৩ থেকে ১৪ তম দিনে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু স্খলিত হয়। এরপর তা ফেলোপিয়ান নালী বেয়ে জরায়ুতে এসে অবস্থান করে। এই স্খলিত ডিম্বাণু ১৫ থেকে শুরু করে ২৮ দিন পর্যন্ত জরায়ুতে অবস্থান করে। এই সময়কে বলা হয় Luteal Phase. এরপর এই ডিম্বানু ১৪ - ১৮ দিনের মধ্যে পুরুষের শুক্রাণু না পেলে অর্থাৎ এই কয়দিন শারীরিক মিলন না হলে তা নষ্ট হতে শুরু করে এবং ২৮ তম দিনে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর দুই থেকে তিন দিন হছে Bleeding Phase. এসময় নষ্ট ডিম্বাণু, জরায়ুর এন্ডোমেট্রিয়াম, মিউকাস সহ বের হয়ে আসে যা আমরা মাসিক স্রাব বলে থাকি। কাজেই মাসিক শেষ হবার পর থেকে ১৪ তম দিনে ডিম্বাণু স্খলিত হয়। এই ডিম্বাণু স্খলিত হওয়ার আগে তিন দিন, স্খলিত হওয়ার দিন এবং পরে তিন দিন হচ্ছে হিট পিরিওড। অর্থাৎ এই সময় শারীরিক মিলন করলে বাচ্চা জন্ম লাভের সম্ভাবনা শতভাগ যদি অন্য কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে। আর বাদ বাকী অন্যান্য দিন গুলো নিরাপদ সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। এখন কথা হচ্ছে অনেকের নিয়মিত মাসিক হয় না। তাদের ক্ষেত্রে এই নিরাপদ সময় বের করা কঠিন কাজ। কিন্তু যাদের মাসিক নিয়মিত অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় একই তারিখে হয় বা দুই একদিন আগে পরে হয়। তাদের ক্ষেত্রে মাসিক শেষ হবার পর ১০ দিন এবং শুরু হওয়ার আগে ১০ দিন হচ্ছে নিরাপদ সময়। তিন দিন হচ্ছে মাসিক চলাকালীন সময়। আর মাঝখানে থাকলো সাত দিন যা হিট পিরিয়ড। কাজেই হিট পিরিয়ডে বীর্য ভেতরে গেলে বাচ্চা জন্ম লাভের সম্ভাবনা ৯৫-৯৯%। আর অন্যান্য দিনে বীর্য ভেতরে গেলে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।