এভাবে সুদভিত্তিক সঞ্চয়পত্র কেনা মানে প্রকারান্তরে সুদের কারবার থেকে ফায়দা ভোগ করা এবং সুদী চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হওয়া। অথচ কোরআন, সুন্নাহ ও ইজমার মাধ্যমে সুদের কারবার হারাম হওয়া প্রমাণিত। ‘সুদ গ্রহণ’ যেমনিভাবে হারাম, তেমনিভাবে সুদী চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হওয়াও সম্পূর্ণ হারাম। হাদিসে এসেছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
আর প্রাপ্ত সুদ সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করার চিন্তা এখানে অমূলক। কেননা এ মাসআলাটি তো কেবল সে ব্যক্তির জন্য যে সুদ গ্রহণ করে ফেলেছে অথবা কোনা কারণে বাধ্যতামূলক হয়ে সুদের কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। মনে রাখবেন, গরিবের রিজিকদাতা বান্দা নয়। বান্দার কর্তব্য হল, আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী
সূত্রঃ
http://quranerjyoti.com