বাজারে বর্তমানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের চালু করা চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। মেয়াদ শেষে এগুলো থেকে ভালো অঙ্কের মুনাফা পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে মুনাফার হার কিছুটা কম হয়। অর্থাৎ বছরওয়ারি মুনাফার পরিমাণে হেরফের হবে। পরিবার সঞ্চয়পত্র: এটি ৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র এবং মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। সঞ্চয়পত্রটি বিক্রি হয় ১০ হাজার, ২০ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানে। এক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। পেনশনার সঞ্চয়পত্র: এটিও ৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র ও মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই শ্রেণিতে ৫০ হাজার, ১ লাখ, ৫ লাখ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানের পাঁচ ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। ২০০৪ সালে চালু হওয়া এ সঞ্চয়পত্র থেকে তিন মাস পরপরও মুনাফা তোলা যায়। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র: এটি দেশের সবচেয়ে পুরোনো সঞ্চয়পত্র। চালু হয় ১৯৭৭ সালে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। বাজারে ১০, ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকা; ১, ৫, ১০, ২৫ ও ৫০ হাজার টাকা এবং ১, ৫ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানে পাওয়া যায় এই সঞ্চয়পত্র। ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক নামে ৩০ লাখ ও যৌথ নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। তবে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কেনার কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই। এটি তিন বছর মেয়াদি ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র। চালু হয় ১৯৯৮ সালে। পাওয়া যায় ১, ২, ৫ ও ১০ লাখ টাকা মূল্যমানে। মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মতো এটিও সবাই কিনতে পারবেন। এই সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ টাকা ও যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়।