চুল পড়া রোধে করনীয়ঃ
১. সপ্তাহে নূন্যতম দু’দিন মেহদি পাতা এবং তার সঙ্গে ৪/৫টি লাল রক্ত জবা বেঁটে নিন। এবার এটি মাথায় মাখার আগে চুলে সামান্য করে তেল লাগিয়ে নিন, না হলে চুল লাল হয়ে যেতে পারে। এবার মাথার গোড়া থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। যেদিন এটি করবেন সেদিন মাথায় স্যাম্পু না করাই ভালো। আর পরের দিন অবশ্যই স্যাম্পু করুন। এ পদ্ধতি অনুসরণে আপনার চুল পড়া যেমন রোধ হবে, তেমনি চুল কালো হবে।
২. নারকেল তেলের সঙ্গে এক থেকে দু টেবিল চামচ (চুলের পরিমান অনুয়ায়ী) কাষ্টার্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে ভালো ভাবে ম্যাসেজ করলে চুল পড়া কমে।
৩. মাথায় যদি সামান্য টাক পড়ে যেতে লাগে, তাহলে একটি মাঝারি সাইজের পেয়াজ অর্ধেক করে কেটে টাক পড়ে যাওয়া জায়গায় ভালোভাবে ঘসতে হবে।
৪. কালমেঘ পাতা বেঁটে রস করে সপ্তাহে দু’দিন মাথায় লাগালে মাথা ঠান্ডা থাকে, মাথার চুল কাল হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৫. যাদের মাথা গরম হয়ে যাবার সমস্যা আছে তাদের জন্য বড় চিন্তার বিষয় হচ্ছে মাথা গরম হলে চুল পড়ে। এক্ষেত্রে এলোভেরা পাতার ভিতরের নির্যাস বের করে ভালোভাবে ফেটে মাথার তালুতে লাগালে মাথা ঠান্ডা থাকে এবং চুল পড়া কমে যায়।
৬. আমলকীর চূর্ণ বা গুড়া নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে মাথায় মালিশ করুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৭. প্রতিদিন ২০-২৫গ্রাম পাকা আমলকি খেলে চুল পড়া এবং চুল পাকা সমস্যা প্রশমিত হয়।
৮. বেদানার পাতা, খোসা এবং দানা একসাথে বেঁটে তাতে সরিষার তেল দিয়ে হালকা আঁচে গরম করুন। গরম তেল ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে রেখে দিন। প্রতিদিন দু’ থেকে তিন বার এ তেল মাথায় ম্যাসেজ করলে টাক সমস্যার সমাধান হয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৯. সজীব ধনে পাতা বেঁটে তার রস বের করে চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুল ঝলমলে, নরম, কালো হয়। আর সাথে সাথে চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
১০. স্বর্ণ লতা বেঁটে রস করে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় ম্যাসেজ করে ১০-১৫ মিনিট রেখে স্যাম্পু করলে চুল পড়া কমে এবং চুল ঘন হয়। কিন্তু যাদের এলার্জির সমস্যা আছে, তারা এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করবেন।