সঙ্গীহীন জীবনে আনন্দ দিবে সেক্স টয়!
অনলাইন ডেস্ক সঙ্গীহীন জীবনে আনন্দ দিবে সেক্স টয়!
স্মার্ট সেক্স টয়
উঠতি বয়স কিংবা মাঝ বয়সী সঙ্গীহীন জীবনকে পরিপূর্ণ আনন্দ দিতে বাজারে এসেছে সেক্স টয়। উন্নত বিশ্বের মতো এখন দেশেও ব্যাপক ব্যবহার বেড়েছে এই টয়ের। সেক্স টয় সেক্সের আগে ফোর প্লের সময় ব্যবহার করতে অনেকেই মজা পায়। এছাড়া নিজের মাস্টারবেশনের সময় সেক্স টয় ব্যবহার করে সন্তুষ্ট হওয়া বেশ সহজ। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন রকম সেক্স টয় এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এখানে সাধারন কিছু সেক্স টয়ের কথা বলা হল।
মেয়েদের জন্য
মেয়েদের জন্য আছে বিভিন্ন রকমের সেক্স টয়। এগুলো মেয়েদের অর্গাসোম লাভে সহায়তা করে, এবং সেক্সুয়ালিটিকে উপভোগ করতে সাহায্য করে। এসব টয় সাধারনত ভ্যাজায়নাল স্যাটিস্ফেকশনের জন্যই ব্যবহৃত হয়। মেয়েদের সবচেয়ে পরিচিত সেক্স টয় গুলোর মাঝে আছে ডিল্ড ও ভাইব্রেটর। নিম্নে তা তুলে ধরা হলোঃ
ভাইব্রেটরঃ মেয়েদের সেক্স টয় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন হল ভাইব্রেটর। এটি মেয়েদের অর্গাসোম লাভে অনেক বেশি সহায়তা করে। এটি প্রধানত মেয়েদের ক্লিটরিসকে স্টিমুলেট করে। এটার জনপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনে কারন হল, মেয়েদের অর্গাসোমে ক্লিটরিস প্রাথমিক ভুমিকা পালন করে। এগুলোতে ডিল্ডর মত পেনিসের মত দেখতে লম্বা কোন অংশ থাকে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো ছোট এবং ফ্লেক্সিবল হয়, যেন তা সহজেই ক্লিটরিসের সংস্পর্শে আসতে পারে এবং সহজে নাড়ানো যায়।
বিভিন্ন ধরনের ভাইব্রেটর আছে। বিভিন্ন আকার আকৃতির ভাইব্রেটর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। ছোট ভাইব্রেটর গুলো সাধারনত বহনযোগ্য ও সুলভ মূল্যের হয়। অন্য দিকে বড় ভাইব্রেটরগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন এগুলো পানির নিচে ব্যবহার করা যায়, এছাড়া অনেক স্থান একসাথে স্টিমুলেট করতে পারে, (যেমন ক্লিটরিস ও জি স্পট)। ভাইব্রেটর অনেক ক্ষেত্রেই বেশ জোরে শব্দ করে থাকে। তাই পরিবারের সাথে বা অনেক মানুষের মাঝে বসবাসের ক্ষেত্রে এগুলো অসস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। নতুন মডেলগুলো অপেক্ষাকৃত কম শব্দ করে। ভাইব্রেটরে সাধারনত বিভিন্ন স্পিডের অপশন থাকে। প্রথম ব্যাবহারের ক্ষেত্রে কম স্পিড দিয়ে শুরু করা উচিত। আস্তে আস্তে আরও হর্নি হলে স্পিড বারিয়ে ভাইব্রেটর ব্যবহার করা হয়।
ডিল্ডঃ ডিল্ড হল একটা পেনিসের মত দেখতে সেক্স টয় যা মেয়েদের ভ্যাজায়নায় ঢুকাতে ব্যবহৃত হয়। ডিল্ড অনেক ক্ষেত্রে অ্যানালের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। স্বাভাবিক ভাবে ডিল্ড পেনিস আকৃতির লম্বা একটি জিনিস। এটি পেনিস ঢুকানোর মতই অনুভূতি দেয় অনেকটা। তবে আধুনিক কালে এই ডিল্ডতে নানা রকম সুবিধা যুক্ত হয়েছে। যেমন অনেক ডিল্ডর চারপাশ রাফ হয় বা বিভিন্ন আলাদা জিনিস থাকে আরও মজা দেওয়ার জন্য। এছাড়াও অনেক ডিল্ডই পেনিসের মত রিয়েলিস্টিক ডিসাইন করা হয়ে থাকে। ডাবল এন্ডেড ডিল্ডও পাওয়া যায় বর্তমানে যা একই সাথে দুইজন ঢুকাতে পারে। লেসবিয়ানদের এসব ডিল্ড বেশ উপকার করে থাকে। বিভিন্ন ভাইব্রেটিং ডিল্ড পাওয়া যায় যা একই সাথে ডিল্ড ও ভাইব্রেটরের কাজ করে।
হ্যালো কিটি ভাইব্রেটরঃ প্রথমে এর মার্কেটিং শুরু হয়েছিল ঘাড়ের ম্যাসেজার হিসাবে। কিন্তু এর অদ্ভুত আকৃতির এবং আকারের জন্য তা চলে নি বেশি দিন। তাছাড়া এটার ভাইব্রেশন এর ধরনও ছিল অন্য রকম। তাই এটি ব্যবহৃত হওয়া শুরু করে ভাইব্রেটর হিসাবে। বিভিন্ন রঙ এ পাওয়া যায় এই হ্যালো কিটি ভাইব্রেটর।
গোল্ড প্লেট ভাইব্রেটরঃ এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ভাইব্রেটর। এটি ১৮ ক্যারেট সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো। এটির ওজন ৫ আউন্স এবং এটি ৩ ইঞ্চির মত লম্বা। এটি সুইডেনে বানানো হয়েছে এবং এর দাম ১,৫০০ ডলার।
নকল হাইমেনঃ এটি এক ধরণের আর্টিফিশিয়াল হাইমেন(Artificial Hymen). এটি একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ যা রক্ত দিয়ে পূর্ণ থাকে। কেউ যদি ভার্জিনিটি হারানো নিয়ে অভিনয় করতে চায়, তবে সে এটা পরে নিতে পারে। এছাড়া মজার জন্য বা আবার ভার্জিনিটি হারানোর ফিলিং পাওয়ার জন্যও ব্যবহৃত হয় এটি।
ছেলেদের জন্য
ছেলেদের জন্যও আছে বিভিন্ন রকমের সেক্স টয়। এগুলো ছেলেদের ইজাকুলেশন লাভে সহায়তা করে এবং সেক্সুয়ালিটি কে উপভোগ করতে সাহায্য করে। এসব টয় সাধারনত পেনিসের স্যাটিস্ফেকশনের জন্যই ব্যবহৃত হয়। ছেলেদের সবচেয়ে পরিচিত সেক্স টয় গুলোর মাঝে আছে রিং ও পেনিস পাম্প। নিম্নে তা তুলে ধরা হলোঃ
রিং: পেনিস রিং বা কক রিং ছেলেদের সেক্স টয়ের মধ্যে অন্যতম। এটি একটি রিং যা পেনিসে পরা হয়। এর সাহায্যে পেনিসটি খাড়া এবং সড়ু হয় যাতে তা ঢুকানো সহজ হয়। এছাড়াও এটি মাস্টারবেটের সময় ইরেকশনে সাহায্য করে। সাধারন রিং এর পাশাপাশি বিভিন্ন বিডেড, বাম্প সহ ভাইব্রেটিং রিং পাওয়া যায় যা পার্টনারকে মজা দিয়ে থাকে। রিং যেকোন সাইজের পেনিসে পরা যায়। এটি স্ট্রেচেবল তাই প্রয়োজন মত ছোট বড় করা যায়। তবে এই রিং বেশি সময় ধরে পরা থাকলে, ক্ষতির কারণ হতে পারে।
পেনিস পাম্পঃ পাম্প আরেকটি ডিভাইস যা ছেলেদের ইরেকশন মেইন্টেইন করতে বেশি সময় ধরে সাহায্য করে। পাম্পের সাথে একটা পেনিস আকৃতির কভার থাকে যা পেনিসে পরানো হয়। এটি রাবারের জেলীর মত পদার্থ দিয়ে তৈরি। এর সাথে পাম্পটি যুক্ত থাকে। পাম্প চালনা করলে ওরাল সেক্সের মত ফিলিং হয়। এছাড়া এটি ম্যানুয়ালি পেনিসকে স্টিমুলেট করে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে এগুলো পেনিস কে ভাইব্রেট করেও স্টিমুলেট করে। এগুলো সাধারনত মাস্টারবেটে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও ছেলেদের সেক্স টয় হিসাবে ফেক ভ্যাজায়না, ওরাল স্টিমুলেশন ইত্যাদি পাওয়া যায় যা ছেলেদের সেক্সের অনেক কাছাকাছি ফিলিংস দিতে পারে এবং ইরেকশনে সহায়তা করে থাকে।
সেক্স পুতুলঃ সম্প্রতি এক অদ্ভুত পুতুল বের হয়েছে, যা দেখতে অবিকল মেয়েদের মত এবং এতে মেয়েদের সব অঙ্গ, এমনকি সেক্সুয়াল অঙ্গও রয়েছে। এগুলো ওয়াটার প্রুফ এবং ছেলেদের সব চাহিদা মেটাতে সম্ভব। এরা কথা বলে না, যা অনেকের কাছেই একটা প্লাস পয়েন্ট। এই পুতুল গুলোর চেহারা চুল নিজের পছন্দ মত বেশ বড় কালেকশন থেকে পরিবর্তন করা যায়। দাম ৬,৫০০ ডলার।
ভার্চুয়াল টাচঃ এটি একটি কম্পিউটার কন্ট্রল্ড স্টিমুলেশন ডিভাইস যা একটি বিশেষ এনকোডিঙ্গের সাহায্যে একজন মানুষ কে সেক্সুয়ালি স্যাটিস্ফাই করতে পারে ভার্চুয়ালি। এর স্টিমুলেশন অত্যন্ত রিয়েলিস্টিক। এটি মানুষটির প্রয়োজন মত স্টিমুলেশন প্রদান করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে, এবং লুব্রিক্যান্ট প্রদান করে।
ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্য
আ্যানাল টয়ঃ অ্যানাল সেক্সের জন্য আছে বিভিন্ন রকম অ্যানাল সেক্সটয়। এদের মধ্যে রয়েছে আ্যানাল বিডস। এগুলো নরম এবং ফ্লেক্সিবল, রাবারের জেলীর মত পদার্থ দিয়ে এগুলো তৈরি। এগুলো অনেকটা ডিল্ডর মতই কিন্তু আকৃতিগত দিক থেকে কিছুটা আলাদা। এগুলো বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায়। ছোটগুলো নতুনদের জন্য কাজের, যারা অ্যানাল সেক্সে অভ্যস্ত নয়। এগুলো অ্যানাল সেক্সে অভ্যস্ত হতেও সাহায্য করে থাকে। ফলে পরবর্তীতে পেনেট্রেশনও সহজ হয়। এছাড়া কিছু টয় বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা থাকে, যা মেয়েরা পরে ছেলেদের অ্যানাল করতে পারে।
বেন ওয়া বলঃ আরেকটি জনপ্রিয় অ্যানাল টয় হল বেন ওয়া বল। এগুলো বহু বছর ধরে সেক্সে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলো ছোট মুক্তার মত বিডস দিয়ে তৈরি যা লম্বা সুতো বা কাঠিতে যুক্ত থাকে। এই সুতো বা কাঠিই অ্যানালে প্রবেশ করানো হয়। এগুলো বিভিন্ন আকার ও আকৃতির পাওয়া যায়। ছেলেমেয়ে উভয়ই অ্যানাল বিডস ব্যবহার করে থাকে।