ব্রণের ক্ষেত্রে সার্জারিতে একেকটি ক্ষতকে একেকভাবে দেখতে হবে। কোনোটা দেখা যায়, দেবে আছে। কোনোটা ঢেউয়ের মতো হয়ে আছে। একেকটা ক্ষতকে একেকভাবে চিকিৎসা করতে হবে। যেটা ঢেউ খেলে, তাকে বলি সাবসিশন। নিচে দিয়ে যেটা টেনে রেখেছে, ওই ফাইবারগুলোকে কেটে দিচ্ছি। যেটা বেশি গর্ত হয়ে যাচ্ছে, সেটা কেটে ফেলে দিলাম। দিয়ে দুটো স্বাভাবিক ত্বককে একসঙ্গে করে দিলাম। এতে ক্ষতটা চলে গেল।
এ ছাড়া আছে পাঞ্চ এলিভিশন। পাঞ্চ করে জিনিসটিকে বের করে দিলাম। পাঞ্চ করে, একে উঠিয়ে আবার বসিয়ে দিলাম। দেখা যায় যে, ওটা ঠিক হয়ে গেল। শেষে আমরা যেটা করি, একে বলে ডার্মাবেশন। এটি প্রচলিত পদ্ধতি।
আমাদের এই এশীয় অঞ্চলের মানুষের ত্বক খুব স্পর্শকাতর হয়। আমাদের কোথাও কেটে গেলে, সাদা হয়ে যায়, কালো হয়ে থাকে- এই সব সমস্যা হয়। এগুলো সাদা চামড়াওয়ালাদের ক্ষেত্রে হয় না। এই জন্য কিন্তু কসমেটিক সার্জারি এই পদ্ধতিগুলো খুব সাবধানে করতে হবে। এগুলো করার আগে আমরা একটি ছোট জায়গায় পরীক্ষা করে নেই যে এই রোগীর ত্বক কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
সার্জারি করার সময় খুব সাবধানে হিসাব করে করতে হবে।
প্রশ্ন : এসব জিনিসের কী কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
উত্তর : সব সার্জারির ক্ষেত্রেই তো সংক্রমণ হলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখানেও হতে পারে। তবে সাবধানতা অবলম্বন করলে তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। কারো মুখে খানাখন্দ হয়েছে, যখন নাই করে দিলাম, রোগী খুব আনন্দিত হয়। দেখতে ভালো লাগাটা কিন্তু বিশাল ব্যাপার। আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। বিষণ্ণতা কমে যায়।
এ ছাড়া যত রকম আঁচিল আছে শরীরে সেগুলোও ভালো চিকিৎসা আছে। ক্রা সার্জারি দিয়ে সেগুলো দূর করা যায়। লেজার করা যায়। আমরা এখন ডার্মাটোসার্জারিতে অনেক কিছু করছি।