এই প্রযুক্তির দুনিয়ায় কোনো পাসওয়ার্ডই ফুল প্রুফড নয়। আপনি যতই 'হযবরল' পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিশ্চিন্তে থাকুন, ততই ব্যাপারটা ফসকা গেরো। হ্যাকাররা এতটাই স্মার্ট। আপনি হয়তো অফিসে কাজে ব্যস্ত। কিংবা কয়েকদিন হয়ে গেছে, ফেসবুক লগ ইন করেননি। হঠাত্ আপনার কোনো বন্ধু ফোন করে জানালেন, আপনার ফেসবুক দেওয়াল অশ্লীল ছবিতে ছেয়ে গেছে। কিংবা আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে মেসেজ পাঠানো হয়েছে। অর্থাৎ, আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে।
হামেশাই হচ্ছে এরকম। ঘাবড়ে যাবেন না। দেরি না-করে কয়েকটি কাজ চটজলদি করে ফেললেই বেঁচে যাবে আপনার অ্যাকাউন্ট। বেশি নয়, ৪টি কাজ সেরে ফেললেই হল। হ্যাকাররা আর আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবে না।
১. পাসওয়ার্ড পরিবর্তন
যদি দেখেন, আপনার পুরনো পাসওয়ার্ডটিও হ্যাকড হয়েছে, তাহলে স্রেফ পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন। অ্যাকাউন্ট সেটিংস-এই অপশন পেয়ে যাবেন। না-হলে ফরগট পাসওয়ার্ডে গিয়ে নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করে ফেলুন দেরি না-করে।
২. যদি দেখেন শুধু হ্যাক-ই নয়, আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে নানাবিধ অ্যাড, স্প্যাম পাঠানো হচ্ছে আপনার বন্ধুদের, তখন ফেসবুকে রিপোর্ট কম্প্রোমাইজড অ্যাকাউন্টে গিয়ে 'মাই অ্যাকাউন্ট ইজ কম্প্রোমাইজড' বাটনে ক্লিক করুন।
৩. ড্যামেজ কন্ট্রোল
প্রযুক্তিগত যা যা করণীয় তাতো করবেনই, কিন্তু তাতেও অনেক বন্ধুই ভুল বুঝতে পারেন আপনাকে। বন্ধুদেরকে মেসেজ করে জানিয়ে দিন, আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে।
৪. কোনো ব্যক্তি নয়, নানা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমেও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হতে পারে। তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক কোনো অ্যাপ্লিকেশন দেখলেই, হোমে গিয়ে অ্যাকাউন্ট সেটিংস-এ যান। সেখান থেকে Apps। একটা তালিকা আসবে। যে App-টি আপনি মুছে দিতে চাইছেন, ক্রস চিহ্নে ক্লিক করুন।