শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। কিডনি অকার্যকর হলে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। কিডনি ভালো রাখতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর খাবার খান।
কিডনি অকার্যকর হওয়ার আট লক্ষণের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
১. ফোলা
অকার্যকর কিডনি শরীর থেকে বাড়তি তরল বের করতে পারে না। এতে মুখ, হাত, পায়ের পাতা, পা, হাঁটু ফুলে যায়। হঠাৎ করে এ রকম হওয়া কিডনি অকার্যকর হওয়ার লক্ষণ।
২. প্রস্রাবে পরিবর্তন
কিডনি অকার্যকর হলে প্রস্রাবে কিছু পরিবর্তন আসে।
• প্রস্রাব হতে কষ্ট হয় বা চাপ বোধ হয়।
• প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে পারে।
• প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যায়।
• প্রস্রাব কমে যায় এবং গন্ধ হয়।
• ফেনার মতো প্রস্রাব হয়।
৩. ত্বকে র্যাশ হওয়া
কিডনি অকার্যকর হয়ে পড়লে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ জমতে থাকে। এই বিষাক্ত পদার্থ ত্বককে শুষ্ক ও ইরিটেটেড করে তোলে।
৪. অবসন্নতা
স্বাস্থ্যকর কিডনি ইরিথ্রোপয়েটিন বা ইপিও হরমোন উৎপন্ন করে। এটি লোহিত রক্তকনিকা তৈরিতে কাজ করে। কিডনি অর্কাযকর হলে, লোহিত রক্তকনিকা কমে যায়। এটি শরীরে অক্সিজেন পরিবহন বন্ধ করে দেয়। এতে রক্ত স্বল্পতা হয় এবং পেশি অবসন্ন লাগে।
৫. ছোট শ্বাস
কিডনির ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আরেকটি লক্ষণ হলো ছোট শ্বাস। লোহিত রক্তকনিকা কমে যায় বলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহন কম হয়। এতে ছোট শ্বাসের সমস্যা হয়; ফুসফুসে বাড়তি পানি জমে।
৬. মুখে দুর্গন্ধ হয়
কিডনি অকার্যকর হলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ বাড়তে থাকে। এতে মুখ দুর্গন্ধ তৈরি হয়। যদি মুখে দুর্গন্ধ কমানোর চিকিৎসা করার পরও এমনটা হতেই থাকে, তবে কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
৭. ব্যথা
কিডনি অকার্যকর হলে অনেক সময় পিঠের নিচে অথবা পাশে ব্যথা করে। কিডনিতে পাথর হলে বা সংক্রমণ হলেও তীব্র ব্যথা হয়।
৮. মনোযোগের অভাব ও ঘুম ঘুম ভাব
কিডনি অকার্যকর হলে মস্তিস্কে অক্সিজেনের অভাব হয়। এতে মনোযোগের অভাব হয়। ঘুম ঘুম ভাব হয় এবং স্মৃতিতে সমস্যা হয়।