363 বার প্রদর্শিত
"পড়াশোনা" বিভাগে করেছেন Level 6
পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখা জানতে চাই।

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন Level 7
৪৫০ কোটি বছরঃ তৈরী হল ‘পৃথিবী’।

৩৮০ কোটি বছরঃ প্রাণের আবির্ভাব। জীববিদ্যার সূত্রপাত।

৬০ লক্ষ বছরঃ মানুষ এবং শিম্পাঞ্জি দুজনের সর্বশেষ পূর্বপুরুষকে দেখা যায়।

২৫ লক্ষ বছরঃ আফ্রিকায় আদি মানুষের বিকাশ লাভ। পাথরের হাতিয়ারের উদ্ভাবন।

২০ লাখ বছরঃ মানুষ আফ্রিকা থেকে ইউরেশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের বিভিন্ন প্রজাতির আবির্ভাব।

৫ লাখ বছরঃ ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্যে নিয়ান্ডার্থাল মানুষ বিকাশ লাভ করে।

৩ লাখ বছরঃ প্রাত্যহিক কাজে আগুনের ব্যবহার।

২ লাখ বছরঃ পূর্ব আফ্রিকায় আধুনিক মানুষের বিকাশ।

৭০ হাজার বছরঃ বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লব ইতিহাসের শুরু: আধুনিক মানুষ আফ্রিকা থেকে বের হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

৪৫ হাজার বছরঃ মানুষ অষ্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী আবাস গড়ে। সেখানকার আগের সমস্ত প্রাণিকুলকে ধ্বংস করে ফেলে।

৩০ হাজার বছরঃ নিয়ান্ডার্থালের বিলুপ্তি।

১৬ হাজার বছরঃ মানুষ আমেরিকায় স্থায়ী আবাস গড়ে তোলে। আমেরিকার পূর্ববর্তী প্রাণবৈচিত্র্য বিলুপ্তির কবলে পড়ে।

১৩ হাজার বছরঃ ফ্লোরেসিয়েন্সিস মানুষের বিলুপ্তি। আধুনিক মানুষই মানব প্রজাতিগুলোর মধ্যে একমাত্র টিকে থাকা প্রজাতি।

১২ হাজার বছরঃ কৃষি বিপ্লব। উদ্ভিদ এবং প্রাণীর গৃহপালিতকরণ। মানুষের এক জায়গায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সূচনা।

৫ হাজার বছরঃ প্রথম রাজ্য, রাজত্ব, হস্তলিপি এবং মুদ্রার প্রচলন। বহু-ঈশ্বরবাদী বা বহুদেববাদী (Polytheistic) ধর্মের প্রচলন।

৪২৫০ বছরঃ প্রথম সাম্রাজ্য – সারগন এর আক্কাদীয় সাম্রাজ্যের শুরু।

২৫০০ বছরঃ
# পয়সার উদ্ভাবন – সর্বজনীন মুদ্রা ব্যবস্থার প্রচলন।
# পারস্য (বর্তমান ইরান) সাম্রাজ্য – “সব মানুষের স্বার্থে” সর্বজনীন রাজনৈতিক ব্যবস্থা।
# ভারতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার – “জগতের সমস্ত প্রাণী দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি পাক” এই সর্বজনীন সত্যে আস্থা।

২ হাজার বছরঃ
# চীনে হান সাম্রাজ্যের সূচনা।
# ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে রোমান সাম্রাজ্যের বিস্তার।
# খ্রিস্টধর্মের আগমন।

১৪০০ বছরঃ ইসলামের সূচনা।

৫০০ বছরঃ
# বৈজ্ঞানিক বিপ্লব। মানুষ তার অজ্ঞতা বা অনভিজ্ঞতাকে বুঝতে এবং নজিরবিহীন শক্তি অর্জন করতে শুরু করে।
# ইউরোপীয়রা আমেরিকা আর সাগর জয় করতে শুরু করে। সারা পৃথিবী একটি মাত্র ঐতিহাসিক স্থানে পরিণত হয়।
# পুঁজিবাদের (capitalism) উদ্ভব।

২০০ বছরঃ
# শিল্প বিপ্লব। পরিবার এবং সম্প্রদায় পরিণত হয় রাষ্ট্র এবং বাজারে। বিপুল পরিমাণ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটে এ সময়।
# বর্তমান সময় মানুষ পৃথিবীর সীমা অতিক্রম করেছে। রাসায়নিক অস্ত্র মানুষ জাতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাণীর বৈশিষ্ট্য এখন আর প্রাকৃতিক বিবর্তনের মাধ্যমে নির্ধারিত হচ্ছে না, হচ্ছে মানুষের বুদ্ধিদীপ্ত নকশার (Intelligent design) মাধ্যমে।

ভবিষ্যৎ সময়ঃ আগামীর বুদ্ধিদীপ্ত নকশাই কি মানুষের ভবিষ্যৎ মূলমন্ত্র হতে যাচ্ছে? আধুনিক মানুষের জায়গা কি দখল করে নিবে অতিমানব ?
+1 টি ভোট
করেছেন Level 5
আজ থেকে প্রায় ১৩শ’ কোটি বছর আগে “বিগ ব্যাং” (Big Bang) নামে পরিচিত এক মহাবিস্ফোরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে এই গল্পের সূচনা। সেই বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণ থেকেই উৎপত্তি হল পদার্থের, সৃষ্টি হল শক্তি, সূচনা হল সময়ের এবং রচিত হল মহাশূন্য। জ্ঞানের যে শাখা মহাবিশ্ব সম্পর্কিত এসব মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাকে আমরা বলি ‘পদার্থবিজ্ঞান’।

পদার্থ এবং শক্তি তৈরী হওয়ার প্রায় ৩ লক্ষ বছর পর তারা একত্রিত হয়ে পরমাণু (Atom) নামে একটি জটিল কাঠামো গঠন করে। পরমাণু হল মৌলের ক্ষুদ্রতম একক, যা সরাসরি রাসায়নিক পরিবর্তনে অংশ নিতে পারে। এই পরমাণুগুলো পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে বিন্যস্ত হয়ে আরো জটিল প্রকৃতির কাঠামোর সূচনা করে, যা অণু নামে পরিচিত। পরমাণু, অণু ও তাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার গল্পই হলো ‘রসায়ন’।

এর অনেক পরে, প্রায় ৩৮০ কোটি বছর আগে, এই মহাবিশ্বের ‘পৃথিবী’ নামক একটি গ্রহে নির্দিষ্ট কিছু অণু মিলিত হয়ে বড় আকারের ও আরো জটিল ধরনের বিশেষ কিছু কাঠামো গঠন করে। যাদের আমরা এককথায় বলি ‘জীব’। সমস্ত জীবজগত ও তাদের কার্যপ্রণালী নিয়ে আলোচনা করে যে শাস্ত্র তার নাম ‘জীববিজ্ঞান’।

প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে, সমস্ত জীবজগতের মাঝে ‘হোমো সেপিয়েন্স (Homo Sapiens)’ নামের একটি বিশেষ প্রজাতি সম্মিলিতভাবে ‘সংস্কৃতি (Culture)’ নামে একটি ধারণার সূত্রপাত ঘটায়। সংক্ষেপে বলতে গেলে, কোন একটি প্রজাতির ব্যবহৃত সকল বাস্তব উপকরণ, খাদ্য, বাসস্থান, পোশাক-পরিচ্ছদ, উৎপাদন পদ্ধতি এবং আচার-আচরণকে একসাথে বলা হয় তার ‘সংস্কৃতি’। আর হোমো সেপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের সংস্কৃতির ক্রমাগত পরিবর্তনের গল্পকেই এককথায় বলা হয় ‘ইতিহাস’।

তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লব ইতিহাসকে আজকের অবস্থানে এনে দিয়েছে। প্রথমটি হল ‘বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লব (cognitive revolution)’, যা প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে মানুষের ইতিহাসের ভিত্তি স্থাপন করে। এরপর আসে ‘কৃষিভিত্তিক বিপ্লব (Agricultural Revolution), যা প্রায় ১২ হাজার বছর আগে মানুষের ইতিহাসকে দেয় নতুন গতি। সবশেষে, এইতো সেদিন, মাত্র ৫০০ বছর আগে শুরু হয় বৈজ্ঞানিক বিপ্লব (Scientific Revolution)। এই বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ইতিহাসকে রাতারাতি পাল্টে দেয় এবং মানুষকে তার নিজের ইতিহাসের ইতি টেনে সম্পূর্ণ নতুন কোন ইতিহাসের সূচনা করার মত বিপুল ক্ষমতা প্রদান করে। এই বইয়ে আমরা এই তিনটি বিপ্লব কীভাবে মানুষ এবং অন্যান্য জীবজগৎকে প্রভাবিত করেছে সেটা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

বুদ্ধিভিত্তিক বিপ্লবের অনেক আগে থেকেই অর্থাৎ ইতিহাস শুরুর বহু আগে থেকেই পৃথিবীতে মানুষের বিচরণ ছিল। আধুনিক মানুষের মত বুদ্ধিমান প্রাণীর প্রথম আবির্ভাব ঘটে প্রায় ২৫ লক্ষ বছর আগে। এর আগে হাজার হাজার প্রজন্ম ধরে মানুষের পূর্বপুরুষরা অন্য দশটা সাধারণ প্রাণীদের মতই জীবন যাপন করে এসেছে। তাদের ছিলো না হাতির মত বিশাল আকার-আকৃতি, আলাদা করে চেনার মত প্রখর বুদ্ধিমত্তা কিংবা খাদ্যশৃঙ্খলে একক কোন আধিপত্য।

তখন কেমন ছিল আমাদের পূর্বপুরুষরা? আর কেমনই বা ছিল তাদের আচার-আচরণ? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য টাইম মেশিনে করে ২০ লাখ বছর আগের কোন সকালে পূর্ব আফ্রিকায় ঘুরতে বের হলে আপনার সাথে দেখা হত আমাদের সেইসব পূর্বপুরুষের। আপনি দেখতেন ছোট বাচ্চাদের বুকে আগলে রাখা মাকে আর কাছেপিঠেই খেলাধুলায় মেতে থাকা ছেলেমেয়েদের। দেখতে পেতেন সমাজের নিয়ম ভাঙা সাহসী তরুণদের কিংবা এমন সব বুড়োদের যারা বাকি জীবনটা কোনরকমে শান্তিতে কাটাতে পারলেই খুশি। হয়তো দেখা যেত শারীরিক শক্তি বা বীরত্ব প্রদর্শনের মাধ্যমে কোনো সুন্দরীর মন ভোলাতে ব্যস্ত কিছু যুবককে আর জীবনভর এই সবকিছু দেখে আসা কোন সবজান্তা বৃদ্ধাকেও। এই প্রাচীন মানুষেরা ভালবেসেছে, খেলাধুলা করেছে, গভীর বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছে। একই কাজ করেছে শিম্পাঞ্জি, বেবুন এবং হাতি। মানুষ তখন কোনভাবেই প্রাণীকুলের অন্যদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না। এ রকম কোন লক্ষণই তাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়নি যেটা দেখে কেউ অনুমান করতে পারবে যে তাদের সুদূর বংশধরেরা একদিন চাঁদের বুকে হাঁটবে, পরমাণুকে দ্বিখণ্ডিত করবে, ডি.এন.এ’র রহস্য উন্মোচন করবে অথবা ইতিহাসের বই লিখবে। সুতরাং, প্রাগৈতিহাসিক মানুষ সম্পর্কে জানার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো, তখন মানুষ খুবই গুরুত্বহীন একটা প্রাণী ছিল। বনমানুষ, মাছি বা পেঙ্গুইনের থেকে পৃথিবীর উপর বেশি প্রভাব মানুষের ছিল না। প্রাগৈতিহাসিক মানুষের ইতিহাস তাই প্রাণিবিদ্যা বইয়ের আর একটি অধ্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়।

জীববিজ্ঞানীরা জীবজগতকে বিভিন্ন প্রজাতিতে বিভক্ত করেছেন। দুটি প্রাণী মিলনের মাধ্যমে যদি সফলভাবে বংশধর তৈরি করতে সক্ষম হয়, তবে তাদেরকে একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত বলে ধরা হয়। দু’টো উদাহরণ থেকে আমরা বিষয়টি আরেকটু সহজ ভাবে বোঝার চেষ্টা করতে পারি। আমরা জানি, বিবর্তনের পরম্পরায় একই পূর্বপুরুষ থেকে গাধা এবং ঘোড়ার উৎপত্তি হয়েছে এবং সেকারণেই তাদের শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের মাঝে যথেষ্ট মিল লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু, তারা একে অপরের প্রতি খুব কমই যৌন আকর্ষণ বোধ করে। মানুষ চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের মিলনের ফলে উৎপাদিত সন্তান হয় বন্ধ্যা, সন্তান উৎপাদনে অক্ষম। এদেরকে আমরা ‘খচ্চর’ নামে চিনি। উৎপাদিত সন্তান বন্ধ্যা হবার কারণ হল, গাধার রূপান্তরিত ডি.এন.এ কখনই ঘোড়ার ডি.এন.এ’র সাথে ভালভাবে খাপ খায় না, ঘোড়ার ডি.এন.এ’র ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। একারণে গাধা ও ঘোড়া একই পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত হলেও তারা দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রজাতি, বিবর্তনের সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে তাদের দু’জনের যাত্রা। অন্যদিকে বুলডগ এবং স্পেনিয়াল দেখতে সম্পূর্ণ আলাদা বলে তাদেরকে ভিন্ন প্রজাতির মনে হলেও আসলে কিন্তু তারা একই প্রজাতির সদস্য। কারণ, তারা দু’জনেই একই রকম ডি.এন.এ বহন করছে। তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই যৌনক্রিয়ায় আবদ্ধ হতে পারবে, তাদের খুব সুন্দর বাচ্চা হবে এবং সেই বাচ্চারাও পরিণত বয়সে অনেক বাচ্চার জন্ম দিতে পারবে।

যেসব প্রজাতি একই পূর্বপুরুষ থেকে এসেছে তাদেরকে একই ‘গণ’ বা ‘জাতি’র (genus) অন্তর্ভুক্ত বলে ধরা হয়। সিংহ, বাঘ, চিতা এবং জাগুয়ার এরা প্রত্যেকেই ‘প্যানথেরা’ (Panthera) নামক জাতের আলাদা আলাদা প্রজাতি। জীববিজ্ঞানীরা জীবন্ত প্রাণীদের নামকরণ করেন দুইটি আলাদা আলাদা রোমান শব্দের মাধ্যমে। আগে গণ বা জাতির নাম পরে প্রজাতির নাম। যেমন, সিংহের নাম প্যানথেরা লিও (Panthera leo) যার অর্থ প্যানথেরা শ্রেণীর সিংহ প্রজাতি। ধরে নেয়া যায়, এ বই যারা পড়বে তাদের প্রত্যেকেই হোমো সেপিয়েন্স (Homo sapiens) অর্থাৎ মানুষ (Homo অর্থ মানুষ) শ্রেণীর জ্ঞানী (sapiens অর্থ জ্ঞানী) প্রজাতির।

কয়েকটি ‘গণ’ আবার একটি ‘পরিবার’ (Family) তৈরি করে। যেমন- সিংহ, চিতা বাঘ, পোষা বিড়াল – এরা বিড়াল পরিবারভুক্ত; নেকড়ে, খেঁকশিয়াল এবং শেয়াল – এরা কুকুর পরিবারের সদস্য এবং হাতি, ম্যামথ, মাসটোডোন – এরা হাতি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। একই পরিবারের সমস্ত সদস্য অতীতের কোন পিতৃতান্ত্রিক বা মাতৃতান্ত্রিক গোষ্ঠী থেকে বিকাশ লাভ করেছে বা বিবর্তিত হয়েছে। গৃহস্থের আদরের পোষা বিড়াল এবং বনের হিংস্র বাঘ আসলে একই পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভুত, প্রায় ২৫০ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে ছিল যাদের বসবাস।

জীবজগতের অন্যান্য প্রাণীদের মতো মানুষও অনেকগুলো গণ বা জাতি নিয়ে গঠিত একটি পরিবারের অংশ। আশ্চর্যজনকভাবে, এই নিতান্ত সাধারণ ব্যাপারটিকে অদ্ভুত কারণে মানুষ বারবার গোপন করতে চেয়েছে। হোমো সেপিয়েন্স নামের এই প্রাণীটি বরাবরই নিজেদেরকে বাকি প্রাণিজগৎ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেখতে চায়, দেখে এসেছে। ভাবখানা এমন, যেন তারা অনাথ একটা প্রজাতি, তারা কোন পরিবারের অংশ নয়, তাদের কোন ভাই-বোন নেই, এমনকি পিতা-মাতা বা অন্য কোনো পূর্বপুরুষও নেই। তা কিন্তু একেবারেই সত্য নয়। পছন্দ করুন আর নাই করুন, আমরা গ্রেট এপ (Great Ape) নামের বিশাল জনবহুল এক পরিবারের অংশ। আমাদের পরিবারের জীবিত নিকটাত্মীয়দের মধ্যে শিম্পাঞ্জি, গরিলা এবং ওরাং-ওটাং উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে শিম্পাঞ্জিরা আমাদের সবচেয়ে কাছের আত্মীয়। মাত্র ৬০ লাখ বছর আগে এক নরবানর (Ape) মায়ের দুটি কন্যা সন্তান ছিল। এদের একজন সমস্ত শিম্পাঞ্জির আদিমাতা এবং অন্যজন হল আধুনিক মানুষের প্রাচীনতম নানী।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

1 উত্তর
02 মে 2018 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
1 উত্তর
23 এপ্রিল 2018 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন jajabor Level 5
0 টি উত্তর
13 এপ্রিল 2019 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন ফারহান Level 8
1 উত্তর
18 মে 2018 "সাধারণ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
1 উত্তর
1 উত্তর
18 মে 2018 "ধর্ম ও বিশ্বাস" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asif Shadat Level 7
1 উত্তর
07 জুন 2020 "পড়াশোনা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ainul VS Rimon Level 7
নির্বিক এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আপনার প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিতে পারবেন এবং পাশাপাশি অন্য কারো প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলে তাদের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করতে পারবেন।
...