গর্ভবতীদের ঘন ঘন বমি হওয়ার প্রবণতা এবং বমি হয়ে থাকে যাকে বলা হয় ‘মর্নিং সিকনেস’। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, যে নারীরা মর্নিং সিকনেসে ভোগেন তাদের গর্ভপাতের সম্ভাবনা কমে থাকে। এই বমি বিষাক্ত উপাদান ও রোগ থেকে ভ্রূণকে রক্ষা করে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
এ সমস্যা সাধারণত সকালের দিক বেশি থাকে আর দিন বাড়ার সঙ্গে কমে আসে। সাধারণত নারীদের গর্ভধারণের পর ৪ মাস পর্যন্ত মর্নিং সিকনেস থাকতে পারে। অনেকের আবার পুরোটা সময় থাকে।
মর্নিং সিকনেসের সঠিক কারণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। তবে এটি ভ্রূণকে রক্ষা করে। দেহের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু থেকে শিশুর বেড়ে ওঠা নিরাপদ করে।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেরেথ অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (এনআইসিএইচডি) এর স্টিফানি এন হিনকেল জানান, মনে করা হয়, মর্নিং সিকনেস স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থার লক্ষণ প্রকাশ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভধারণের প্রাথমিক অবস্থা থেকেই বমি ভাব ও বমি দেখা দেয়। এতে ভ্রূণটি নিরাপদ থাকে।
এ গবেষণার কাজে হিনকেল এবং তার সহকর্মীরা বহু নারীর তথ্য বিশ্লেষণ করেন। এদের এক বা একাধিক সময় গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অ্যাসপিরিন কোনো কাজে দেয় কিনা তা দেখতে চেয়েছিলেন গবেষকরা।
এর আগের গবেষণাগুলোতে গর্ভাধারণের প্রাথমিক অবস্থায় মর্নিং সিকনেস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয়নি। বরং গর্ভধারণের পরের সময়গুলোতে বিভিন্ন লক্ষণ বিশ্লেষণে কাজ করেন বিশেষজ্ঞরা।
এ গবেষণায় ৭৯৭ জন গর্ভবতী নারীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। এদের মধ্যে ১৮৮ জনের গর্ভপাত ঘটে। গর্ভধারণের ৮ম সপ্তাহের সময় ৫৭.৩ শতাংশ নারীর বমি ভাব শুরু হয়। আর ২৬.৬ শতাংশের বমি ভাবসহ বমি হতে থাকে। যাদের বমি ভাব ও বমি হয়েছে তাদের গর্ভপাতের সম্ভাবনা ৫০-৭৫ শতাংশ কম ছিল।
এ গবেষণাপত্রটি জামা ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।..