খেজুর আমরা অনেকেই খেতে ভালবাসি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, সৌন্দর্য বজায় রাখতেও খেজুরের অনেক গুন রয়েছে। চুল ও ত্বকের ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই খেজুর। খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, কে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার এবং আয়রন রয়েছে।
যা আপানর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি তো বটেই চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও উপযোগী। যদি রোজ খেজুর খাওয়া যায় তাহলে তা আমাদের শরীরকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি সরবরাহ করে। যার ফলে আমাদের ত্বক স্বাস্থ্যকর হয়। অন্যদিকে খেজুরে যে প্রোটিন রয়েছে তা আমাদের শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে নতুন করে তৈরি করে। আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক খেজুর আমাদের চুল ও ত্বকের ক্ষেত্রে কোন কোন দিক থেকে উপযোগী।
চুলের গোড়া মজবুত করে : খেজুর থেকে যে তেল বের হয় তা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। এই তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা দুর করে এবং তুলের গোড়া মজবুত করে। ফলে চুল বিনা বাধায় তাড়াতাড়ি বাড়তে পারে।
ত্বককে টানটান করে : অনেকসময় দেখা যায় মোটা থেকে রোগা হলে চেহারা ও মুখের ত্বক অনেকটা আলগা হয়ে ঝুলে আসে। এক্ষেত্রে খেজুর খুবই উপকারি, কারণ খেজুরের পুষ্টিগত যোগত্যার কারণে তা ত্বককে নরম ও মোলায়েম করে পাশাপাশি ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেড করে।
অ্যান্টি এজিং : খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম,সালফার, ফাইবার রয়েছে, যা বয়সের সঙ্গে বেড়ে ওটা বলিরেখাকে অনেকাংশে করে। বলিরেখা এসে গেলে তা যে কমিয়ে দিতে পারে তা না, তবে আপনি যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে তা আপনার চেহারায় বলিরেখা আসার সময় কিছুটা মন্থর করতে পারে।
স্ট্রেচ মার্ক দুর করে : খেজুরে ভিটামিন বি রয়েছে। যা ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর পেটে যে স্ট্রেচ মার্ক দেখা যায় তা অনেকটা কম করার ক্ষমতা রাখে খেজুর।
চুল পরা বন্ধ করে : প্রত্যেকদিন যদি ২-৩টি খেঁজুর প্রত্যেকদিন খাওয়া যায়, তাহলে তা চুলের গোড়া মজবুত করে। এর ফলে চুল পরাও ৮০ শতাংশ কম হয়ে যায়।