সারা বছর যে ফলটির দেখা পাওয়া যায় তা হল ‘কলা’। কলা ফলটি অনেকে পছন্দ করেন আবার অনেকে করেন না। এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কম বেশি আমরা সবাই জানি। কলা খাওয়ার পর এর খোসাটি কী করেন? ফেলে দেন, তাই তো? কিন্তু কলার মত কলার খোসারও আছে বিবিধ ব্যবহার। কলার খোসা দিয়ে করা যায় অদ্ভুত কিছু কাজ।
#9
১। দাঁত সাদা করতে
কলার খোসা দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে। কলার খোসায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আছে যা দাঁত প্রাকৃতিকভাবে সাদা করে থাকে। কলার খোসার ভিতরে অংশ দিয়ে দাঁতে ঘষুন। কিছুক্ষণ ঘষার পর দেখবেন দাঁত অনেকখানি সাদা হয়ে গেছে।
২। পোকার কামড়
যেখানে পোকা কামড় দিয়েছে সেখানে কলার খোসা ঘষুন। এটি চুলকানি কমিয়ে দিবে। কলার খোসাতে পলিস্যাকারাইড আছে যা ত্বকের চুলকানি কমিয়ে দেয়।
৩। বলিরেখা দূর করতে
পাকা কলার খোসাতে ডোপামিন নামক উপাদান আছে যা ত্বকের রিঙ্কেল দূর করে থাকে। এটি এক ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক যা ত্বকের টক্সিন দূর করে র্যাডিকেল দূর করে। কলার ভিতর অংশ ত্বকে ব্যবহার করুন। এটি বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করবে।
৪। জুতো পলিশ করতে
চামড়া জুতো অনেক সময় ধুলোবালি, ময়লা লেগে নষ্ট হয়ে যায়। কলার খোসা দিয়ে চামড়া জুতো ঘষুন। তারপর নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। দেখুন জুতো কেমন নতুনের মত হয়ে গেছে।
৫। ত্বক থেকে কালির দাগ দূর করতে
অনেক সময় কাজ করতে গিয়ে হাতে কলমের কালি লেগে যায়। সাবান দিয়ে ধুলেও সহজে যেতে চায় না এই দাগ। কলার খোসার ভিতরের অংশ দিয়ে ত্বকে ঘষুন। দেখবেন দাগ উঠে গেছে। কলার খোসার ভিতরে তেল কালির তেলকে আকর্ষণ করে।
৬। ব্যথা দূর করতে
কলার খোসা ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকর। শরীরে যে কোন ব্যথা দূর করতে কলার খোসা ব্যবহার হয়ে আসছে অনেক আগ থেকে। কলার খোসাতে পটাশিয়াম আছে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অনেক মনে করেন মাথা ব্যথা করলে কলার খোসার নরম অংশ কপালে দিয়ে রাখলে ব্যথা দ্রুত কমে যায়।
৭। পানি বিশুদ্ধকরন
পানি বিশুদ্ধ করতে কলার কসা বেশ কার্যকর। অনেক সময় খাওয়ার পানি নোংরা থাকে। কলার খোসা পানির ময়লা দূর করে পানিকে খাওয়ারযোগ্য করে তোলে।