অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, কায়িক পরিশ্রম না করা ইত্যাদি হৃদরোগের বড় কারণ। হৃদরোগ হলে শুধু ব্যক্তিরই ভোগান্তি হয় না, পরিবারকেও অনেক ভুগতে হয়। তাই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো পালন করলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি জানিয়েছে এই বিষয়গুলোর কথা।
১. ধূমপান পরিত্যাগ করুন
ধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এটি হার্ট অ্যাটাক হওয়ার একটি বড় অন্যতম কারণ। সময় থাকতে সাবধান হোন।
২. বাজে কোলেস্টেরল কমান
শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে কোলেস্টেরলজাতীয় খাবার কম গ্রহণ করুন, স্যাচুরেটেড ফ্যাটজাতীয় খাবার খান।
৩. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের একটি বড় কারণ। ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৪. কর্মক্ষম থাকুন
যাঁরা ব্যায়াম করেন না বা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি হয়। হার্টকে ভালো রাখতে কী ধরনের ব্যায়াম আপনার শরীরের জন্য উপযুক্ত, সেটি ফিটনেস বিশেষজ্ঞের কাছে জেনে নিন।
৫. হার্টের জন্য উপকারী খাবার খান
হার্টের জন্য ভালো এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। আঁশযুক্ত খাবার খান; শাকসবজি, ফল, বাদাম ইত্যাদি খান। মাংসের পরিমাণ কমিয়ে খাদ্যতালিকায় মাছ রাখুন। লবণ ও চিনি কম খান।
৬. ভারসাম্যপূর্ণ ওজন
বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ ওজন বজায় রাখুন। ভারসাম্যপূর্ণ ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন
ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অনেকেরই ভেতরে ভেতরে ডায়াবেটিস থাকে। তাই নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করান।
৮. মানসিক চাপ কমান, রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন
প্রত্যেকেই মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, তাই যেকোনো পরিস্থিতিতে রেগে যাওয়া স্বাভাবিক। যদি মানসিক চাপ এবং রাগ খুব বেশি হয়, বারবার হয়, তবে এটি সমস্যার কারণ। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন, মানসিক চাপ কমান।