ওজন বাড়ানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি ‘সাপ্লিমেন্ট’ খেতে পারেন। তবে সুনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস আরও বেশি জরুরি। আপনার প্রয়োজন সঠিক পরিমানে আমিষ, কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি। পেশি গঠনের চাবিকাঠি হল আমিষ। তাই বাদাম ও দুগ্ধজাত খাবারের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন।
কম খাওয়া:
তিনবেলা খাওয়া ছাড়াও বাড়তি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। প্রতিদিনের খাওয়ার অভ্যাস দুই ধরনের হতে পারে। হয় দিনে তিনবেলা ভারি খাবার খেতে হবে নয়ত পাঁচ থেকে ছয়বার হালকা খাবার খেতে হবে। খাবারের তালিকায় বেছে নিতে হবে পুষ্টিকর ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবারগুলো।
শরীরের গড়ন পাতলা বলেই যে ইচ্ছে মতো বার্গার, পিৎজা আর কাবাব খাবেন তা নয়। মনে রাখতে হবে, অতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আপনারও সমস্যা হতে পারে।
মিষ্টি খাবার সামলেঃ
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারে। পদ্ধতিটি কারও ক্ষেত্রে কাজে লাগলেও অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে ‘ভিসেরাল ফ্যাট’ আন্ত্রিক চির্বি’র বিপত্তি। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে আপনাকে রোগা-পাতলা দেখালেও শরীরের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে চর্বি জমতে শুরু করে। পাশাপাশি অন্যান্য খাবার থেকে যে পুষ্টি উপাদান পেয়েছিলেন সেগুলোও নষ্ট করে এই চর্বি।
শরীরচর্চা:
রোগা-পাতলা শরীর অথচ সামনে একটা ভুড়ি, দৃশ্যটা আপনাকে একজন মোটা লোকের পাশেও লজ্জায় ফেলে দিতে পারে। আর পাতলা গড়নের যারা ইচ্ছা মতো খাচ্ছেন, বয়স বাড়লে তাদের এই সমস্যায় পড়তেই হয়। তাই নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ধূমপান বর্জন:
যত বেশি ধূমপান, ক্ষুধা ততোই কম। কারণ সিগারেটে থাকে ক্ষুধা নষ্টকারী উপাদান। তবে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায় অনেকে। ধূমপায়ীদের মধ্যেও আছে মোটা ও পাতলা গড়নের মানুষ। তবে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনার শরীরের উপর ধূমপানের প্রভাব কি তা যাচাই করা। প্রতিদিনের খাওয়া আর ধূমপানের তালিকা তৈরি করে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ধূমপান কেমন অনুভূতি সৃষ্টি করে তা পরীক্ষা করতে হবে। ফলাফল হয়ত ধূমপান ত্যাগ করতে অনুপ্রাণিত করবে।