শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে রক্ত। এই লোহিত তরল পদার্থটির কারণেই শরীরের প্রতিটি অঙ্গ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে। শরীরের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পৌঁছে দেওয়াই হোক অথবা অক্সিজেনের সরবরাহই হোক, সবকিছুরই ব্যবস্থা হয় রক্তের মাধ্যমে। তাই কোনও রোগ রক্তে সংক্রামিত হলে গোটা শরীরেই তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই রক্তকে শোধন করা বা শুদ্ধ রাখা ভীষণভাবে প্রয়োজনীয়। শরীরের সব ক্ষতিকর টক্সিনকে বের করে দিতে পারলে রক্ততে শুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে শরীরকে ভালো রাখা সম্ভব।নিচের লেখায় দেখে নিন এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে যা স্বাভাবিক উপায়ে রক্তকে শোধিত করতে সক্ষম-
আপেল
আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন নামের ফাইবার যা কোলেস্টেরল ও ভারী ধাতুর রক্তে মেশাকে আটকাতে পারে। অন্ত্রে টক্সিন জমা থেকেও আটকাতে সক্ষম আপেল।
অ্যাভোকাডো
শরীরে নানা পুষ্টিগুণ দিতে ও কোলেস্টেরল কমিয়ে দিতে বিশেষ সাহায্য করে অ্যাভোকাডো। ধমনীতে অনেক সময়ে ব্লক তৈরি হয়। তা সরিয়ে দিতেও বিশেষ সক্ষম এই ফল। এছাড়া এতে থাকা গ্লুটাথিয়ন লিভারকে টক্সিন ও কেমিক্য়াল মুক্ত থাকতে সাহায্য করে।
বিট
রক্ত ও লিভারকে শোধন করার সমস্ত গুণই রয়েছে বিটের মধ্যে।
ব্লুবেরি
ব্লুবেরিতে রয়েছে ন্যাচরাল অ্যাসপিরিন যা কোশকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। এছাড়া মূত্রথলী ও নালিতে ব্য়াকটেরিয়ার সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায় এই ফল।
বাধাকপি
বাধাকপিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ও ক্যানসার নিরোধক যৌগ। পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে বাধাকপি।
রসুন
শরীরের নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও পরজীবীর বাস করা ঠেকায় রসুন। রক্তে এগুলি সংক্রমণ আটকাতে বিশেষ পারদর্শী রসুন।
আঙুর
আঙুরে রয়েছে পেকটিন ফাইবার যা কোলেস্টেরলকে কমায়। লাল আঙুরে এটি বেশি করে পাওয়া যায়। এছাড়া রক্তকে নানা উপায়ে শুদ্ধ করতেও এটি বিশেষ সাহায্য করে।
চা
আদা বা পেপারমিন্ট দেওয়া চা অথবা গ্রিন টি টক্সিন বের করে রক্তকে শোধন করতে সাহায্য করে।