মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতীয় উপমহাদেশে মিষ্টি খাবারের অনুষঙ্গ হিসেবে কিশমিশের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। ফলটি শুধু খাবার ড্রেসিংয়ের জন্যই নয়, এর রয়েছে নানাবিধ পুষ্টিগুণ।
প্রতিদিন অন্তত ৯০টি কিশমিশ খাওয়া উচিত বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ৯০টি বা ১.৫ আউন্স কিশমিশে রয়েছে ১২৯ ক্যালরি ও ১.৩ গ্রাম প্রোটিন।
ফ্যাটবিহীন ফাইবার সমৃদ্ধ এ খাবারটি অন্ত্রকে ভালো রাখে ও কোষ্ঠাকাঠিন্য দূর করে। একইসঙ্গে শরীর থেকে বর্জ্য ও টক্সিন নির্মূল করে সহজে।
কিশমিশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। এগুলো অ্যাসিডিটি কমায়, টক্সিন নির্মূল করে ও অার্থ্রাইটিস, গেঁটেবাত, কিডনির পাথর ও হৃদরোগ দূর করে।
কিশমিশে রয়েছে পলিফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। যা এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল প্রপার্টিজ যা ব্যাক্টেরিয়া মারে ও জ্বর হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করে, ঠাণ্ডা ও অন্য সংক্রামক ব্যাধি রোধ করে।
পলিফেনোলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে বলে কিশমিশ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও ফ্রি রেডিক্যালসের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। কিশমিশ চোখের জন্য আদর্শ খাবার। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন ও এ-ক্যারোটিনয়েড।