চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কার্যালয় ও গবেষণাগার তৈরিতে ভয়াবহ অনিয়ম ধরা পড়েছে। ভবন নির্মাণে একাধিক জায়গায় লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের উপকরণ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর কর্মকর্তারা কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দুই কোটি ৪১ লাখ টাকা খরচে গত বছর ডিসেম্বর মাসে ভবনটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। কাজ শেষ করে আগামী জুন মাসে ভবনটি হস্তান্তরের কথা আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ঢাকার শেওড়াপাড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (ইসিএল) তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয় কনস্ট্রাক্শন ভবনটি নির্মাণের কাজ করছে। ভবনটি নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। বিশেষ করে অনেক স্থানে ঢালাই কাজে লোহার রডের পরিবর্তে কাটা বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া, নিম্নমানের ইট, বালি ও সিমেন্টের পরিমাণ কম ব্যবহার করা হয়েছে। খোয়ার পরিবর্তে পরিত্যক্ত সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক নির্মল কুমার দের নেতৃত্বে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, ‘মহাপরিচালকের নির্দেশে নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে।’ এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
এদিকে ইসিএলের প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম জানান, তাঁর অজান্তেই এসব অনিয়ম হয়েছে। এতে ঠিকাদারি ও তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তবে লুপ লাইনে সমস্যা হলেও বাকি পুরো ভবনে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, ‘ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজের মিস্ত্রি ও সুপারভাইজার যাতে ঘটনাস্থলের বাইরে যেতে না পারে সেজন্য বলা হয়েছে।