স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে চাইলে-
ভাল ঘুম স্মৃতিশক্তির পাহারাদার হিসেবে কাজ করে!
ঘুমের অভাব আপনার মস্তিষ্ককে স্থবির করে দেয়। অনিয়মিত, অতিরিক্ত বা প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘুম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি প্রক্রিয়ায় বাধা হয়ে দাড়ায়। তাই, আপনি যদি আপনার স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে চান, তাহলে নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান!
পুষ্টিকর খাবার খান।
কী ভাবছেন? স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার সাথে পুষ্টিকর খাবারের সম্পর্ক কোথায়, তাইতো? হ্যা, একটা ব্যাপার তো আছেই; শরীর ভাল থাকলে আপনার মন মানসিকতাও ভাল থাকে। আর বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আপনার স্মৃতিশক্তির বিকাশে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই খাবারগুলো হল- নারকেল তেল, শিমের বিচি, ব্রকলি, ডার্ক চকলেট, হরেক রকম বাদাম, বাঁধাকপি, পালং শাক, সূর্যমুখীর বীজ, টমেটো ইত্যাদি।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
শরীর ও মনে আড়ষ্টতা থাকলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হওয়ার পরিবর্তে আরও নষ্ট হয়। তাই নিজেকে ঝরঝরে রাখতে রোজ নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম মানেই শারীরিক কসরত করতে হবে তা কিন্তু নয়। ভোরের স্নিগ্ধ হাওয়ায় একটু ঘুরে আসতে পারেন। বিকেলের হালকা রোদে একটু বেড়িয়ে আসতে পারেন আশপাশ থেকে। এ ধরনের হালকা ব্যায়াম আপনার মনকে চাঙ্গা রাখবে; সেই সাথে স্মৃতিশক্তিকে করবে ধারালো।
নিজের স্মৃতিশক্তির উপর বিশ্বাস রাখুন।
আপনি যদি প্রথমেই মনে করে রাখেন “আমার পক্ষে এতো কিছু মনে রাখা সম্ভব না”, তাহলে কিন্তু আপনি পিছিয়ে পড়বেন। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার মূল কথা হল, নিজের উপর আস্থা রাখা। আপনি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে আপনার স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে পড়বে। এজন্যে মেডিটেশন করতে পারেন। মেডিটেশন হচ্ছে মনের ব্যায়াম। নীরবে কোথাও বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন মনোযোগ, সচেতনতা ও সৃজনশীলতা বাড়ায়। মনের জট খুলে যায়, হতাশা ও নেতিবাচকতা দূর হয় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার গেইম খেলুন
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় এমন অনেক খেলা আছে।রুবিক’স কিউব, সুডোকু, ক্রসওয়ার্ডস, পাজল, ক্রিমিনাল কেইস, ওয়ার্ড কানেক্টিং, ওয়ার্ড,মেমরাইজিং ইত্যাদি বেশ বিখ্যাত কিছু ‘ব্রেন গেইম’ যা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।