ঘুমানোর সময়ে কেউ কেউ একেবারে আকাশের দিকে মুখ করে ঘুমান, কেউ উল্টো হয়ে পড়ে বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমান, আর কেউ কেউ একপাশে কাত হয়ে ঘুমান। আপনি যদি বেশীরভাগ সময়ে বামদিকে কাত হয়ে ঘুমান, তবে ঘুমের মাঝে আপনার একটি সমস্যা হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তা হলো দুঃস্বপ্ন বেশি হবার সম্ভাবনা।
পুরনো একটি গবেষণা যার ব্যাপারে সম্প্রতি জানা গেছে, তা থেকে জানা যায় বাম কাত হয়ে ঘুমানো মানুষ, ডান কাত হয়ে ঘুমানো মানুষের চাইতে বেশি দুঃস্বপ্ন দেখে। ৬৩ জন মানুষের ওপর করা এই গবেষণায় ৪১ জন ডান কাত হয়ে ঘুমায় আর ২২ জন বাম কাত হয়ে। বামদিকে কাত হয়ে ঘুমানো মানুষের ৪১ শতাংশ বলে তারা দুঃস্বপ্ন দেখেন, আর ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমানো মানুষের ১৫ শতাংশের মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখার কথা জানা যায়।
দুঃস্বপ্ন নিয়ে গবেষণা এই প্রথম নয়। পনির নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা যায় একেক ধরণের পনির খেলে একেক ধরণের স্বপ্ন দেখা যায়। ঘুমের পজিশনের সাথেও দুঃস্বপ্নের সংযোগ আছে তা আগেই জানা যায়। তবে বাম অথবা ডান কাত হয়ে ঘুমানোর সাথে দুঃস্বপ্নের পাশাপাশি আরেকটি জিনিসের সংযোগ আছে, তা হলো গ্যাস্ট্রোইসোফ্যাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা GERD। যাদের এই সমস্যা আছে তাদের আবার বামদিকে কাত হয়ে ঘুমানোই ভালো। এতে তাদের পাকস্থলী ইসোফ্যাগাসের নিচে থাকে। এদের ক্ষেত্রে ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমালে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা চোঁয়া ঢেকুর উঠতে পারে ফলে জ্বালানো-পোড়ানো ধরণের স্বপ্ন দেখতে পারেন তারা।জানেন কি বাম কাত হয়ে ঘুমালে কি সমস্যা হতে পারে আপনার?
আপনার যদি দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা বেশি হয়ে থাকে তাহলে কিছু কাজে এই সমস্যা কমাতে পারেন। নিজের স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করতেও পারেন কিছু কাজের মাধ্যমে। ঘুমানোর আগে নিজেকে মনে করিয়ে দিতে পারেন যে আপনার স্বপ্ন আপনারই নিয়ন্ত্রণে এবং আপনি ইচ্ছা করলেই একে পরিবর্তন করতে পারেন। নিজের দুঃস্বপ্নের কথা লিখে রাখতে পারেন ডায়েরিতে, কথা বলতে পারেন কোন মনস্তত্ববিদের সাথে। এতে বোঝা যেতে পারে কী কারণে আপনি এত দুঃস্বপ্ন দেখছেন।